এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হল নবম শ্রেণির ছাত্রী। রবিবার স্কুলের ভিতরেই গলায় শাড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ১৫ বছরের ওই আদিবাসী কিশোরী। ছত্তীসগঢ়ের যশপুর জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তড়িঘড়ি অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, যশপুরের বাগিচা থানার অন্তর্গত একটি গ্রামের এক বেসরকারি স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে। সোমবার স্কুলেরই একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও মিলেছে। তাতে প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা-সহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এর পরেই চাঞ্চল্য ছড়ায় স্কুলে। অনেকেরই দাবি, স্কুলের প্রধানশিক্ষকের হাতে নিয়মিত হেনস্থার শিকার হয়েই এমন পদক্ষেপ করেছে ওই কিশোরী।
সোমবার যশপুরের সিনিয়র পুলিশ সুপার শশীমোহন সিংহ বলেন, ‘‘মৃত ছাত্রী পার্শ্ববর্তী সুরগুজা জেলার সীতাপুরের বাসিন্দা। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট মিলেছে, যেখানে স্কুলের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’
ঘটনায় শিক্ষা, আদিবাসী এবং পুলিশকর্তাদের সমন্বয়ে একটি যৌথ দল গড়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, স্কুল ক্যাম্পাসের ছাত্রীনিবাসটির কোনও অনুমোদন ছিল না। আদিবাসী দফতরের সহকারী কমিশনার সঞ্জয় সিংহ বলেন, ‘‘স্কুলের ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ১২৪ জন পড়ুয়ার মধ্যে মোট ২২ জন ছাত্র এবং ১১ জন ছাত্রী হস্টেলে থাকত, যা কোনও অনুমোদন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সমস্ত নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সে সব নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ বাগিচার সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপ রাঠিয়া জানিয়েছেন, ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার পরেই ছাত্রীমৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।