দিল্লির দূষণের চিত্র। ছবি: রয়টার্স।
দিল্লির দূষণ নিয়ে চিন্তায় ঘুম উড়েছে প্রশাসনের। সোমবারও শহরের কোথাও কোথাও ৪০০ ছুঁয়ে ফেলেছে বাতাসের গুণমান (একিউআই)। সেই আবহেই এ বার আরও কড়াকড়ি জারি করল প্রশাসন। দিল্লির সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি দফতরকে নির্দেশ দিয়ে জানানো হল, এখন থেকে কাজ করতে হবে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে। বাকিরা বাড়ি থেকে কাজ বা ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করবেন।
রাজধানীতে ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণের জেরে দিন দুয়েক আগেই তৃতীয় স্তরের ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ (জিআরএপি-৩) চালু হয়েছে। এই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রের কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (সিএকিউএম)। ইতিমধ্যেই স্কুল-কলেজগুলির জন্যও নানা বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে দিল্লি সরকার। জানানো হয়েছে, শিশুদের খোলা মাঠে খেলতে দেওয়া যাবে না। স্কুল এবং কলেজগুলিতে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে কোনও ক্রীড়া কর্মসূচি থাকলে তা-ও পিছিয়ে দিতে হবে।
একিউআই ২০১ থেকে ৩০০-র মধ্যে থাকলে জিআরএপি-১ বিধিনিষেধ কার্যকর হয়। জিআরএপি-২ কার্যকর হয় একিউআই ৩০১ থেকে ৪০০-র মধ্যে থাকলে। একিউআই ৪০১ থেকে ৪৫০-র মধ্যে হলে কার্যকর হয় জিআরএপি-৩। আর একিউআই ৪৫১ অতিক্রম করলে কার্যকর হয় জিআরএপি-৪। তবে দিল্লি সরকার জানিয়েছে, এখন থেকে এক স্তর পরের নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে নাগরিকদের। অর্থাৎ জিআরএপি-৩ চালু থাকলেও মানতে হবে জিআরএপি-৪ এর নিয়ম।
রবিবারই বায়ুদূষণের প্রতিবাদে ইন্ডিয়া গেট চত্বরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন দিল্লিবাসীদের একাংশ। পুলিশকর্মীদের চোখে ছেটানো হয়েছিল পেপার স্প্রে। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়়িয়ে পড়েছিলেন কেউ কেউ। সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের ১৭ জনকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।