প্রতীকী ছবি।
পেটের টানে মেয়েকে বাড়িতে রেখেই কাজে বেরিয়ে যেতেন মা। দিন মজুরের কাজ। অনেক সময় কয়েক দিনের জন্য রাজ্যের বাইরেও যেতে হত তাঁকে। বাড়িতে অবশ্য স্বামী রয়েছে, তাই দূরে গিয়েও খানিক নিশ্চিন্ত থাকতেন। কিন্তু স্বপ্নেও ভাবেননি যে রক্ষার দায়িত্বে যাঁকে রাখা হয়েছে, সেই স্বামীই হবে তাঁর মেয়ের ধর্ষক। দীর্ঘ দিন ধরে ১০ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযুক্ত উঠল তারই সৎ বাবার বিরুদ্ধে। এখন সে অন্তঃসত্ত্বা। গুরুতর অসুস্থ হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার রোহতকে। সেই রোহতক, যেখানে শুক্রবার রাতে গণধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে এক তরুণীকে।
পুলিশ জানিয়েছে, তার মা কর্মসূত্রে মাঝে মধ্যেই বাইরে থাকতেন। আর সেই সুযোগেই নাবালিকার উপরে লাগাতার ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন চালিয়ে গেছে সৎ বাবা। সম্প্রতি ওই নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যান মা। তখনই ঘটনাটি সামনে আসে। চিকিৎসকেরা তাঁকে জানান যে, ওই নাবালিকা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে নাবালিকাকে জি়জ্ঞাসা করলে সেও মুখ খোলে। সে জানায়, সুযোগ পেলেই ওই ব্যক্তি তার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ত। উপরন্তু ভয়ও দেখাত। তাই সে এত দিন কাউকে বিষয়টি জানানোর সাহস পায়নি।
আরও পড়ুন: আর এক নির্ভয়া! গণধর্ষণের পর ছিন্নভিন্ন যৌনাঙ্গ, থ্যাঁতলালো মুখ
শুক্রবারই হরিয়ানার রোহতকের এক ফাঁকা এলাকা থেকে এক তরুণীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গণধর্ষণের পর তাঁর পরিচয় গোপন রাখতে তরুণীর মাথার উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয় অভিযুক্তেরা। যৌনাঙ্গে ধারালো অস্ত্র ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের এখনও খোঁজ চলছে। তার মধ্যে ফের আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এল রোহতকেই।