গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত। —ফাইল চিত্র।
রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে হাসপাতালে গিয়ে মেজাজ হারান গোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানে। শুধু তা-ই নয়, কর্তব্যরত মেডিক্যাল অফিসারকে বরখাস্ত করার কথাও জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মেজাজ হারানো এবং ওই মেডিক্যাল অফিসারের সঙ্গে কথা কাটাকাটির ভিডিয়ো ছড়িয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত। তাঁর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন তিনি। তাঁর ঘোষণা, এখনই কাউকে বরখাস্ত করা যাবে না!
শনিবার গোয়ার মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের এক সিনিয়র চিকিৎসক গোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের মুখে পড়েন। বাম্বোলিনের ওই হাসপাতলে আচমকাই পরিদর্শনে যান বিশ্বজিৎ। তিনি জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছেন। সই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই হাসপাতালে যান। কী অভিযোগ ছিল, তা-ও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, তাঁকে এক জন ফোন করে জানান গোয়ার মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক রোগীর চিকিৎসা করতে চাইছেন না! এমনকি, দুর্ব্যবহারও করেছেন।
সেই অভিযোগ পেয়েই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘সারপ্রাইজ় ভিজিট’ বিতর্কের সৃষ্টি করে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালে গিয়ে ওই চিকিৎসককে ডেকে পাঠান। তার পরে তাঁকে উত্তেজিত হয়েই ভর্ৎসনা করেন বিশ্বজিৎ। তিনি ওই চিকিৎসকের উদ্দেশে বলেন, ‘‘কাজের চাপ থাকলেও রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা যায় না। আমি সাধারণত মেজাজ হারাই না। কিন্তু আপনার কাজকর্ম আমাকে এখানে আসতে বাধ্য করেছে।’’
হাসপাতালে সকলের সামনে চিকিৎসকের সঙ্গে তর্কাতর্কি এবং বরখাস্ত করার ঘটনা নিয়ে সরব হয় কংগ্রেস। তাদের দাবি, গোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসককে অপমান করেছেন তিনি। ঘটনা নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই ‘ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের’ (আইএমএ) গোয়া শাখা বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যবহারে দুঃখপ্রকাশ দাবি করে।
সমালোচনার মুখে পড়ে বিশ্বজিৎ জানান, তিনি যা বলেছেন, দায় তাঁরই। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তবে তাতেও বিতর্ক থামেনি। এই আবহেই গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করবেন। তবে ওই চিকিৎসককে বরখাস্ত করা হবে না।