জেরার পরই পদত্যাগ গোয়ার রাজ্যপালের

এম কে নারায়ণনের পরে ভারত বীর ওয়াঞ্চু। ভিভিআইপিদের চপার কেনা নিয়ে ৩৬০০ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় গোয়ার রাজ্যপাল ওয়াঞ্চুকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই পদত্যাগ করলেন তিনি। শুক্রবার চপার দুর্নীতির এক জন সাক্ষী হিসেবে পানজিমে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই কর্তারা। তার পরেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন গোয়ার রাজ্যপাল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি ও পানজিম শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৪ ০৩:৩১
Share:

ভারত বীর ওয়াঞ্চু

এম কে নারায়ণনের পরে ভারত বীর ওয়াঞ্চু।

Advertisement

ভিভিআইপিদের চপার কেনা নিয়ে ৩৬০০ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় গোয়ার রাজ্যপাল ওয়াঞ্চুকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই পদত্যাগ করলেন তিনি। শুক্রবার চপার দুর্নীতির এক জন সাক্ষী হিসেবে পানজিমে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই কর্তারা। তার পরেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন গোয়ার রাজ্যপাল।

এই কাণ্ডের সাক্ষী হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল নারায়ণনকেও গত শনিবারই রাজভবনে এসে জেরা করেছিল সিবিআই। এর পরেই পদত্যাগ করেন নারায়ণন। নারায়ণনকে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই জানা গিয়েছিল এর পর সিবিআইয়ের নিশানা ওয়াঞ্চু। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, এগুলি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের জমানায় নিয়োগ হওয়া রাজ্যপালদের সরিয়ে দেওয়ার চাল কি না। এ দিন ওয়াঞ্চুর পদত্যাগের পরে সেই প্রশ্নই ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। সিবিআই অবশ্য দাবি জানিয়ে এসেছে, এ সবের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি নেই।

Advertisement

রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যবহারের জন্য ব্রিটিশ-ইতালীয় সংস্থা অগুস্তা-ওয়েস্টল্যান্ডের থেকে ১২টি চপার কেনার জন্য ৩৬০০ কোটি টাকার বরাত দেওয়া হয়েছিল। এই বরাত দেওয়াকে ঘিরেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, প্রথমে এই সংস্থাটি বরাত পাওয়ার দৌড়ে ছিল না। কিন্তু চপারগুলির ওড়ার উচ্চতার মাপকাঠি ৬ হাজার মিটার থেকে সাড়ে চার হাজার মিটারে কমিয়ে আনার পরেই ব্রিটিশ-ইতালীয় এই সংস্থাটি বরাত পেয়ে যায়। নারায়ণন তখন ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। আর ওয়াঞ্চু ছিলেন তৎকালীন এসপিজি প্রধান। ২০০৫-এর ১ মার্চের যে বৈঠকে ওই উচ্চতা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেখানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণন এবং ওয়াঞ্চু।

দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসার পরেই প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান এস পি ত্যাগী এবং এক ইউরোপীয় দালাল-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিবিআই। এ দিন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলাও দায়ের করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন