(বাঁ দিকে) গোয়ার পুড়ে যাওয়া সেই নৈশক্লাব। ধৃত অজয় গুপ্ত (ডান দিকে) — ফাইল চিত্র।
গোয়ার নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে এ বার প্রকাশ্যে এল নয়া তথ্য! জানা গেল, অগ্নিকাণ্ডের রাতে গোয়াতেই ছিলেন ক্লাবের ধৃত মালিক অজয় গুপ্ত। পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করায় রাতেই দিল্লি পালিয়ে যান তিনি। অবশ্য পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে পারেননি। দু’দিন পর দিল্লিতে ধরা পড়ে যান তিনি।
গোয়ার নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর তদন্তে নেমে ক্লাবের মালিকদের গত কয়েক সপ্তাহের গতিবিধি নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু করেছে পুলিশ। তাতেই জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে গোয়ায় ছিলেন ক্লাবের তৃতীয় অংশীদার অজয়। যে সময় উত্তর গোয়ার আরপোরার নৈশক্লাবটি পুড়ছিল, তখন গোয়ার অন্য প্রান্তে ছিলেন ওই ব্যক্তি। রাতেই খবর পান, ক্লাবে আগুন লেগে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ক্লাবের মালিকদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। গ্রেফতারি এড়াতে সঙ্গে সঙ্গে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়ে যান তিনি।
গোয়ার ওই নৈশক্লাবের চার মালিক। তাঁদেরই একজন অজয়। অগ্নিকাণ্ডের পর তাঁর বিরুদ্ধেও লুকআউট সার্কুলার (এলওসি) জারি করে গোয়া পুলিশ। দিল্লিতে তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় পুলিশের একটি দল। বেগতিক বুঝে অজয় মেরুদণ্ডের সমস্যার ভান করে দিল্লির লাজপতনগরের এক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান। কিন্তু এত করেও শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়ে যান তিনি। দিল্লি পুলিশের অপরাধদমন শাখার সূত্রে গোয়া পুলিশ খবর পায়, দিল্লির এক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অজয়। তার পরই গোয়া পুলিশের একটি দল লাজপতনগরের ওই হাসপাতাল থেকে অজয়কে গ্রেফতার করে।
ক্লাবের প্রধান দুই মালিক সৌরভ ও গৌরব লুথরাকে ইতিমধ্যেই তাইল্যান্ড থেকে ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্য দিকে, গত বৃহস্পতিবার অজয়কে গোয়ার এক আদালতে পেশ করা হলে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আপাতত আঞ্জুনা থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা করা হচ্ছে তাঁকে।