গোয়ার এই নৈশক্লাবেই আগুন লাগে। ছবি: পিটিআই।
গোয়ার নৈশক্লাবের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জেনারেল ম্যানেজারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকেই খোঁজ নেই ওই ক্লাবের মালিকের। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্তকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যেই ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার এবং কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্লাবের মালিকের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। প্রমোদের কথায়, ‘‘এই ঘটনার জন্য যাঁরা যাঁরা দোষী, কাউকে রেয়াত করা হবে না।’’ গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী।
গোয়ার বাগা সমুদ্রসৈকতের কাছে আরপোরায় জনপ্রিয় নৈশক্লাব বির্চে শনিবার রাত ১২টা নাগাদ আগুন লাগে। যখন এই ঘটনা ঘটে, তখন ক্লাবে ভিড় ছিল যথেষ্ট। ক্লাবের দোতলায় নাচগানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ক্লাবের সদস্য, কর্মী এবং পর্যটক মিলিয়ে প্রায় ১০০ জনের মতো ছিলেন। সকলেই তখন নাচগানে মশগুল। আচমকাই বিস্ফোরণের শব্দ। তার পরেই আগুন ধরে যায়। ভিড়ের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। অনেকেই ক্লাবের রান্নাঘরের দিকে চলে যান।
দমকলবাহিনীর প্রাথমিক অনুমান, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেই অগ্নিকাণ্ড। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ক্লাবের বেসমেন্ট থেকে কয়েক জনকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। চার জনকে ঝলসানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বেসমেন্টের রান্নাঘরে আটকে পড়া ২৫ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চার জন পর্যটক রয়েছেন। দমকল সূত্রে খবর, বেশির ভাগেরই মৃত্যু হয়েছে ধোঁয়ার কারণে দমবন্ধ হয়ে। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন হোটেলের কর্মী, চার জন পর্যটক এবং স্থানীয় কয়েক জন। ১৮ জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
গোয়ার অগ্নিনির্বাপণ এবং জরুরি পরিষেবার ডিরেক্টর নিতিন ভি. রাইকার ক্লাবটির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে জানান, প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছিল না ক্লাবটির। দমকল দফতরের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুসরণ করেননি ওই ক্লাব কর্তৃপক্ষ, দাবি রাইকার। ছিল না পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। ক্লাবটি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রও ছিল না কর্তৃপক্ষের কাছে। তার পরেও ক্লাবে কী ভাবে পার্টি চলছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ ইতিমধ্যেই ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।