প্রতীকী ছবি।
একেই বোধহয় বলে ঘোর কলিযুগ! বিপদে পড়লেই যাঁদের দিনরাত স্মরণ করছেন মানুষ। নোটিস পাঠিয়ে শেষে তাঁদেরই কিনা প্যাঁচে ফেললেন হরিয়ানার এক পুরসভার! শনিবার নোটিস পাঠিয়ে দুর্গা, শিব, রাধা-কৃষ্ণের থেকে সম্পত্তিকর চেয়ে পাঠাল হরিয়ানার ফতেয়াবাদের পুরসভার। সম্পত্তির পরিমাণ অনুযায়ী তাঁদের ন্যূনতম ৪ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর দিতে হবে। বিষয়টা জানাজানি হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছেন ওই পুরসভার চেয়ারম্যান দর্শন নাগপাল। মন্দির কর্তৃপক্ষের বদলে কী ভাবে দুর্গা-শিব-কৃষ্ণের নামে এই নোটিস গেল তা জানতে কয়েক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন তিনি। এ নিয়ে সমাধানসূত্রে বের করতে কথা বলবেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও।
বিষয়টা ঠিক কী?
দর্শন নাগপাল জানান, ওই পুরসভা এলাকায় যাবতীয় সম্পত্তিকরের একটি হিসাব কষা হয়েছে। কার কত সম্পত্তি এবং কে কতটা সম্পত্তিকর ফাঁকি দিয়েছেন সবই সমীক্ষা করার দায়িত্ব দেওয়া হয় একটি বেসরকারি সংস্থাকে। সেই সংস্থাই এলাকাবাসীদের বাকি সম্পত্তিকরের আলাদা আলাদা বিল করে দফতরে পাঠায়। পরে পুরসভার আয়কর বিভাগ থেকে বিলগুলি নির্দিষ্ট ঠিকানায় পোস্ট করে দেওয়া হয়। তার মধ্যে কয়েকটি মন্দিরের বিলও ছিল। চেয়ারম্যান জানান, ওই বিলগুলিতে মন্দির কর্তৃপক্ষের নাম না রেখে ভুলবশত দেবতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বিলগুলি এক বারও খতিয়ে না দেখার জন্যই এই বিপত্তি।