আবার ঘুরে দাঁড়ানোর হুঙ্কার গগৈয়ের

দলের রাজ্য সভাপতি দিল্লির হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি। বিধানসভা ভোটের পরাজয়ের ‘ময়না তদন্তে’ ব্যস্ত শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু এতে হাল ছাড়তে নারাজ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। লড়াই চালিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর হুঙ্কার দিলেন তরুণ গগৈ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৬ ০৫:৩৫
Share:

দলের রাজ্য সভাপতি দিল্লির হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি। বিধানসভা ভোটের পরাজয়ের ‘ময়না তদন্তে’ ব্যস্ত শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু এতে হাল ছাড়তে নারাজ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। লড়াই চালিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর হুঙ্কার দিলেন তরুণ গগৈ। তিনি জানালেন, অবসর নেওয়া দূরের কথা, সক্রিয় রাজনীতিতে থাকছেন। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন অসম কংগ্রেসকে।

Advertisement

নতুন সরকার শপথ নিয়েছে গত কাল। শপথমঞ্চে ছিলেন তিনিও। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে গগৈ বলেন, ‘‘গত ১৫ বছরে অসমকে অনেক স্থিতিশীল অবস্থায় এনেছিলাম। অসম ফের আগেকার অস্থির অবস্থায় ফিরে যাক তা চাইনি। কিন্তু মানুষ পরিবর্তন চেয়েছেন। তাই তাঁদের দেওয়া দায়িত্ব মাথা পেতে নিলাম।’’ তাঁর মতে, বেকারত্ব দূর করা ও মূল্যবৃদ্ধি রোধ করাই বিজেপি জোট সরকারের কাছে ‘চ্যালেঞ্জ’ হবে। সেই সঙ্গে সীমান্ত পুরো বন্ধ করা, অসম চুক্তি রূপায়ণ ও রাজ্যের বিশেষ সাহায্য ফিরিয়ে আনাও টিম সর্বানন্দের সামনে কঠিন পরীক্ষা। তিনি জানান, রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে কংগ্রেস বর্তমান সরকারকে সব সাহায্য করতে প্রস্তুত।

গগৈ মেনে নেন, ভোটের আগে তিনি অসম গণ পরিষদ ও ইউডিএফের সঙ্গে জোট গড়ার বিষয়ে একাধিক বার আলোচনায় বসেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেসের পক্ষে তাঁদের দাবি মানা সম্ভব হয়নি।

Advertisement

এক সময় গগৈয়ের অনুগামী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, পল্লবলোচন দাস সর্বা-মন্ত্রিসভায় সামিল হয়েছেন। সর্বানন্দের জয়ের পিছনে হিমন্তপন্থীদেরও অবদান অনেক। এক সময় তাঁদের দুর্নীতি, ক্ষমতালিপ্সা ও সিন্ডিকেটরাজ নিয়ে অনেক সমালোচনা করেছেন গগৈ। কিন্তু ক্ষমতায় এসেই স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত, সিন্ডিকেটহীন সরকার তথা প্রশাসনের কথা ঘোষণা করেছেন সর্বানন্দ। তা নিয়ে গগৈ এ দিন বলেন, ‘‘শুধু সেনাপতি ভাল হলেই হবে না। তাঁর সৈনিকদেরও ভাল হতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন