কাছাড় জেলার জন্য কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। কোনওটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প, কোনওটি রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা। তার মধ্যে রয়েছে তারামণ্ডল, বিবেকানন্দ কালচারাল সেন্টার, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি, আইটি অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ম্যানুফ্যাকটারিং প্লান্ট, সৈনিক স্কুল ও মডেল হাসপাতাল। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এ সবের জন্য সব মিলিয়ে ৩৬৫ বিঘা জমি বরাদ্দ করা হয়েছে।
জেলাশাসক এস বিশ্বনাথন জানিয়েছেন, এই অঞ্চলে আইটি অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট নির্মাণের সিদ্ধান্ত বড় কথা। তাই সরকার আগ্রহ দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা জমির বন্দোবস্ত করেছেন। ডার্বিতে ১৩০ বিঘার উপর গড়ে উঠবে এই বিশেষ প্রকল্প। একই এলাকায় হবে একটি সৈনিক স্কুল। সে জন্য ১৫১ বিঘা জমি বরাদ্দ করা হয়েছে।
এ ছাড়া, বিবেকানন্দ কালচারাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের জন্য শিলকুড়িতে ৬০ বিঘা জমি দেওয়া হয়েছে। বিধানসভা ভোটের সময়ই এ ব্যাপারে কথা দিয়েছিল বিজেপি। সর্বানন্দ সোনোয়াল সরকারের বাজেটেও কালচারাল সেন্টারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তার ঠিক পরই জমি চেয়ে নেওয়ায় আশা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্র কাজ শুরু হবে। কাছাকাছি এলাকাতেই নির্মিত হতে চলেছে তারামণ্ডল। সে জন্যও শিলকুড়িতেই ১০ বিঘা জমি বরাদ্দ করা হয়েছে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি শিলচরে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করতে চলেছে। রংপুরে ১০ বিঘা জমি দেওয়া হয়েছে তাদের। মালিনীবিলে মডেল হাসপাতাল তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩ বিঘা ১০ কাঠা জমি।
তারামণ্ডল এবং বিবেকানন্দ সেন্টার শিলচরে হবে বলে আশা করেছিলেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার দিলীপকুমার পাল। তারামণ্ডলের জন্য শহরে আরবান স্যুয়ারেজ প্লান্ট সংলগ্ন এলাকায় নিজেই সরকারি জমি খুঁজে বের করেছিলেন। তার পরও বিষয়টি অহেতুক ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে বলে দিলীপবাবু প্রকাশ্যে জেলাশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু নানা বিষয়ে দু’জনের মধ্যে দূরত্ব বাড়লে তারামণ্ডল ও বিবেকানন্দ কেন্দ্রের জন্য শিলচর বিধানসভা আসনের বদলে সোনাইয়ের শিলকুড়িতে জমি দেন জেলাশাসক বিশ্বনাথন।
অন্য দিকে, সৈনিক স্কুলের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে ডার্বিতে জমি দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মেমোরিয়াল স্বার্থ সুরক্ষা পরিষদ। সংস্থার সভাপতি হারাণ দে বলেন, তাঁরাই স্কুলের জন্য অনেক দিন ধরে লেখালেখি করছিলেন।