সেনা পেনশনের সিদ্ধান্ত কি ভোট ঘোষণার আগেই

নির্বাচন কমিশন আগামী সপ্তাহে বিহারে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে চলেছে। ওই ঘোষণা হতেই নির্বাচনী আচরণবিধির কারণে মাস তিনেকের জন্য সেনাদের এক পদ এক পেনশন (ওআরওপি)-এর ঘোষণা আটকে যাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:৪৫
Share:

নির্বাচন কমিশন আগামী সপ্তাহে বিহারে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে চলেছে। ওই ঘোষণা হতেই নির্বাচনী আচরণবিধির কারণে মাস তিনেকের জন্য সেনাদের এক পদ এক পেনশন (ওআরওপি)-এর ঘোষণা আটকে যাবে। সরকার তাই চলতি সপ্তাহেই এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনও নীতি ঘোষণা করতে পারে।

Advertisement

এক পদ এক পেনশনের দাবিতে রাজধানীতে ৮২ দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ-অনশন করছেন প্রাক্তন সেনারা। সরকার সহানুভূতিশীল মনোভাব দেখালেও এখনও বিষয়টি নিয়ে টানাপোড়েন শেষ হয়নি। প্রাক্তন সেনাদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকার একতরফা কিছু ঘোষণা করলে তা তাঁরা মানবেন না। তাঁদের দাবি, নয়া নীতিতে পেনশনের অঙ্ক পর্যালোচনা ও সংশোধন করতে হবে প্রতি বছর। বড় জোর দু’বছর অন্তর হলে, প্রাক্তন সেনারা তা মেনে নিতে পারেন। সরকার এটা পাঁচ বছর অন্তর করার কথা বলছে। জট কাটাতে আজ প্রাক্তন সেনাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়। দু’পক্ষের কেউ কেউ মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত রফা হতে পারে তিন বছরে। নয়া পেনশন নীতি কবে থেকে চালু করা হবে, জট তা নিয়েও। সরকার ১ জুলাইয়ের কথা বললেও প্রাক্তন সেনাদের দাবি, ২০১৪-র ১ এপ্রিল থেকে এটা কার্যকর করতে হবে। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন সেনাদের দাবি মেনে নিতে সরকারের নীতিগত আপত্তি নেই। এর জন্য বাড়তি যে আর্থিক দায় চাপবে সরকারের উপরে, ভাবনা তা নিয়েই। সেনা-পেনশন খাতে বছরে এখন ৫৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। এক পদ এক পেনশন নীতি চালু করলে বছরে এখনই সেটা আরও ৮ হাজার কোটি টাকা বাড়বে। অর্থ মন্ত্রকের এক কর্তা মনে করিয়ে দিলেন, ‘‘প্রতি বার পেনশন পর্যালোচনায় খরচটা বাড়তে থাকবে। সরকার চায়, পাঁচ বছর অন্তর পেনশনক্রম খতিয়ে দেখা হোক। যাতে বাড়তি খরচের ধাক্কাটা অর্থ মন্ত্রক পাঁচ বছরে সয়ে নিতে পারে।’’

সরকারের এই বাধ্যবাধকতা শুনতে নারাজ প্রাক্তন সেনারা। দাবি মানা না হলে বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। ১৯৬৫-র যুদ্ধে বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান বয়কট করে ইতিমধ্যেই মোদী সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন তাঁরা। পেনশন জট দ্রুত কাটানোর জন্য চাপ রয়েছে সঙ্ঘ পরিবারেরও। দরজায় কড়া নাড়ছে বিহার নির্বাচন। অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ ক’দফায় ভোট নেওয়া হবে, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কমিশন আগামী সপ্তাহেই দিনক্ষণ ঘোষণা করার পক্ষপাতী। কেন্দ্র তার আগেই মীমাংসায় পৌঁছতে চাইছে। যাতে বিহারের ভোটেও এটাকে হাতিয়ার করা যায়। আরএসএস-বিজেপি সমন্বয় বৈঠক থেকে বেরিয়ে

Advertisement

সঙ্ঘের মুখপাত্র মনমোহন বৈদ্যও বলেন, ‘‘বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ জানিয়েছেন, সরকার খুব শীঘ্রই এক পদ এক পেনশন চালু করবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন