বরাক উপত্যকার স্কুল-কলেজে পৃথক ছুটির তালিকা তৈরিতে রাজি হল না রাজ্য সরকার।
এ দিন উত্তর করিমগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বরাক উপত্যকায় ছুটির তালিকা পরিবর্তনের প্রসঙ্গটি বিধানসভায় উত্থাপন করেন। বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন এর আগে শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার কাছে এ ব্যাপারে একটি স্মারকপত্রও পাঠায়। তাদের দাবি ছিল, বরাক উপত্যকায় পুজোর ছুটি আগের মতোই রাখা হোক। সেই সঙ্গে অন্তত বরাকের স্কুলগুলিতে নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলাম, বিপিনচন্দ্র পাল, মাতৃভাষা দিবস, বরাকের ভাষাশহিদ দিবসে ছুটি ও উৎসব পালন করা হোক।
বিধানসভায় সরকার জানায়, বরাকের জন্য পৃথক ছুটির তালিকা করা সম্ভব নয়। ছুটির তালিকা দেশের মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হয়। আগের শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ছুটির দিন ছিল ১০২টি। এবারে তা বেড়ে হয়েছে ১০৭। উচ্চমাধ্যমিকে ১০১ দিন।
বরাক বঙ্গের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৌরীন ভট্টাচার্য সরকারি জবাবে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য রয়েছে। পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সংস্কৃতিও। ফলে পুজোর ছুটি কমানোর বিষয়টি ভাবাই যায় না।’’ তাঁর কথায়, পুজোর সময় সবাই আনন্দ-স্ফূর্তি করেন। যাঁরা বাইরে থাকেন, তাঁরা ঘরে ফেরেন। এই বিষয়ে আলোচনার জন্য তাঁরা শীঘ্রই বৈঠক ডাকবেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের কাছাড় জেলা সম্পাদক পরিতোষ দে। তবে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বাংলার অন্তর্ভুক্তিতে তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ছুটির দাবি ছাড়াও রাজ্য সরকারের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের কম্পিউটার পরীক্ষা ও সরকারি কলেজে তৃতীয় শ্রেণিতে নিযুক্তির পরীক্ষাতেও বাংলা অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানানো হয়েছিল। সরকার তা মেনে নিয়েছে। বিধায়সভায় জানানো হয়, বাংলা ভাষা তৃতীয় শ্রেণির সরকারি পরীক্ষা, কম্পিউটার প্রশিক্ষকের পরীক্ষা-সহ বিভিন্ন পরীক্ষায় ও প্রশ্নপত্রে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকার ব্যবস্থা নেবে।