সোমবার সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। —ফাইল চিত্র।
সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে সোমবার। চলবে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ছুটির দিনগুলি বাদ দিলে মোট ১৫ দিন অধিবেশন চলবে। সাধারণত শীতকালীন অধিবেশন ২০ দিন ধরে চলে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলি। প্রথামাফিক অধিবেশন শুরুর আগে, রবিবার সংসদে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্র। ওই বৈঠকে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) ছাড়াও দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়েও আলোচনার দাবি জানিয়েছে বিরোধী দলগুলি।
বিরোধী দলগুলির সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দিল্লি এবং দেশের নানা প্রান্তে ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণ নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি জানানো হবে। সর্বদল বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ গৌরব গগৈ বলেন, “আমরা বৈঠকে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা চেয়েছি। দিল্লির বিস্ফোরণ প্রমাণ করে দিয়েছে যে আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ব্যর্থ। দ্বিতীয় বিষয় হল দেশের গণতন্ত্রের সুরক্ষা। ভোটার তালিকার এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। আমাদের তৃতীয় দাবি হল স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা। দেশের প্রতিটি প্রান্তে বায়ুদূষণ বাড়ছে।”
শীতকালীন অধিবেশনে ১৪টি বিল পেশ করতে পারে কেন্দ্র। তার মধ্যে উল্লেখ্য হল ‘অ্যাটমিক এনার্জি বিল, ২০২৫’। এই বিলে দেশের পরমাণু শক্তি ক্ষেত্রও বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য খুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পরমাণু শক্তি আইন, ১৯৬২ মেনে এত দিন পরমাণু শক্তি ক্ষেত্র পুরোপুরি সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। সবটাই দেখত পরমাণু শক্তি দফতর (ডিএই)। তা ছাড়াও দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বশাসিত করতে ‘হায়ার এডুকেশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া বিল, ২০২৫ পেশ করতে পারে কেন্দ্র। তালিকায় রয়েছে কর্পোরেট আইন (সংশোধনী) বিল, মণিপুর জিএসটি (দ্বিতীয় সংশোধনী) বিল।
রবিবারের সর্বদল বৈঠকে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজিজু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। গৌরব ছাড়াও কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জয়রাম রমেশ এবং প্রমোদ তিওয়ারি। আরজেডি-র তরফে মনোজ ঝা, তৃণমূলের তরফে ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রের তরফে অধিবেশন সুষ্ঠু ভাবে চালানোর জন্য বিরোধী দলগুলির সাহায্য চাওয়া হয়েছে। সংসদ বিষয়কমন্ত্রী রিজিজু বলেন, “সংসদের কাজ থমকে দেওয়া উচিত নয়। সরকার সভার কাজ সুষ্ঠু ভাবে চালাতে সব দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে।” তৃণমূলের তরফে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এসআইআর নিয়ে আলোচনা হতে দিক সরকার। এসআইআর-এর জন্য ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।”