হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে কথা বলবে না কেন্দ্র। জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি আলোচনার আর্জি জানালে চলতি সপ্তাহেই তাঁকে এই কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সরকার সুপ্রিম কোর্টকেও জানিয়ে দিল, কাশ্মীরের ‘আজাদি’-র দাবিতে সরব, এমন কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সঙ্গে কোনও রকম আলোচনায় যাবে না সরকার।
কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে কেন্দ্র দরকারে হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গেও আলোচনায় বসুক— শীর্ষ আদালতে এই মর্মে আবেদন করেছিল জম্মু-কাশ্মীর বার অ্যাসোসিয়েশন (শ্রীনগর)। আজ তারই শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের বেঞ্চে। অ্যার্টনি জেনারেল মুকুল রোহতগি সেখানে বলেন, ‘‘আইনগত ভাবে যাঁরা কাশ্মীরের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন, শুধু তাঁদের সঙ্গেই কথা বলবে কেন্দ্র।’’ বার্তা স্পষ্ট, স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলেই সমস্যা মেটাতে চায় দিল্লি। হুরিয়তদের মতো বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে প্রকাশ্যে অন্তত কথা বলার পক্ষপাতী নয় সরকার। বার অ্যাসোসিয়েশনটি ছররা বন্দুক নিষিদ্ধ করার পক্ষে সওয়াল করলে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, জনতা যদি পাথর ছোড়া বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেয় তবে ছররা গুলির ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দেবে আদালত।
আরও পড়ুন: অভিন্ন জয়েন্ট স্থগিত রাখায় খুশি শিক্ষামন্ত্রী
গত কাল দক্ষিণ কাশ্মীরে একটি মন্দির অপবিত্র করা নিয়ে ‘গুজব’ রটার পরে ডোগরা ও কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কয়েকটি সংগঠন আজ রাজ্যের সব মন্দিরের নিরাপত্তার দাবি তুলে জম্মুতে বিক্ষোভ দেখায়। কাশ্মীরে ‘কার্পেট বম্বিং’-এর দাবি তোলেন সঙ্ঘের এক নেতা। এরই মধ্যে উপত্যকায় শান্তি ফেরানোর রাস্তা খুঁজতে আজ বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সেখানে ছিলেন সেনা ও গোয়েন্দাপ্রধানেরাও। জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী ৮০ হাজার কোটি টাকার যে প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, তা রূপায়ণের কাজ খতিয়ে দেখা হয় বৈঠকে। মেহবুবা সরকারের প্রতিনিধিদের রাজনাথ জানিয়ে দেন, রাজ্যে ১০ হাজার স্পেশ্যাল পুলিশ অফিসার নিয়োগে যে প্রক্রিয়া চলছে, তা পুরোপুরি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে।