ডাক পেলেন পলানিস্বামীই।
সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শশিকলা অনুগত ইকে পলানিস্বামীকেই সরকার গড়ার আহ্বান জানালেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাও। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ১৫ দিন সময়ও পেয়েছেন তিনি। একান্ত অনুগত পলানিস্বামী ডাক পাওয়ায় দ্রাবিড়ভূমের অন্যতম এই রাজ্যটির কুর্সি দখলের লড়াইয়ে পনীর শিবিরকে আপাতত অনেকটাই পিছিয়ে দিলেন শশিকলা। রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই উল্লসিত শশিকলা শিবির।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশে শশিকলার জেলযাত্রার পর সরকার গড়তে কাকে ডাকা হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রাখছিলেন রাজ্যপাল। কুর্সি দখলে যুযুধান দু’পক্ষই বারবার দেখা করেছেন রাজ্যপালের সঙ্গে। পনীর এবং পলানিস্বামী— দুই শিবিরই দাবি করেছে নিজেদের হাতে যথেষ্ট সংখ্যক বিধায়কের সমর্থন থাকার। এ ক্ষেত্রে রাজ্যপাল কাকে আগে ডাকবেন তা নিয়ে চলছিল বিস্তর জল্পনা। এ ক্ষেত্রে চার রকম সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন রাজ্যপাল। এক, অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগির পরামর্শ মেনে বিধানসভায় দু’শিবিরের নেতাকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের সুযোগ দিতে পারতেন তিনি। প্রথম থেকেই কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে চলায় এই সম্ভাবনাটিই প্রবল বলে আশা করছিল রাজনৈতিক মহল। দুই, পালানিসামি বা পনীরসেলভমের মধ্যে কোনও এক জনকে ডেকে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হতে বলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁকে বিধানসভায় গরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিতে পারতেন তিনি। এই সম্ভবানাটিই এ দিন বেছে নিয়েছেন বিদ্যাসাগর রাও। ডেকে নিয়েছেন পলানিস্বামীকে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে সময় দিয়েছেন ১৫ দিন। সম্ভাবনা ছিল আরও। শাসক দলে মতানৈক্যের কারণে প্রধান বিরোধী দল ডিএমকে-কে সরকার গড়তে সুযোগ দিতে পারতেন রাজ্যপাল। চতুর্থত, বিধানসভা জিইয়ে রেখে সাময়িক ভাবে রাষ্ট্রপতি শাসন জারিও করতে পারতেন তিনি। তবে শেষ দুই সম্ভাবনার একটি করলে নিঃসন্দেহে আঙুল উঠত কেন্দ্রের দিকে। কেন্দ্রের তরফে কিন্তু প্রথম থেকেই একে রাজ্যের নিজস্ব সমস্যা বলে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
রয়েছে সমর্থন। সাংবাদিকদের সেই তালিকা দেখাচ্ছেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী।
শশিকলার জেলযাত্রার পর ৬৩ বছরের ই পলানিস্বামীই ছিলেন শশী শিবিরের সবচেয়ে বিশ্বস্ত। বুধবারই তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ১২৪ জন বিধায়কের সমর্থন থাকার দাবি করেন। তাঁকে সরকার গড়তে ডাকার পর শশী শিবির থেকে টুইট করা হয়, ‘রাজ্যপালকে ধন্যবাদ আমাদের নেতাকে সরকার গড়তে ডাকার জন্য। এটা নিঃসন্দেহে আম্মার জয়।’ পনীর শিবিরের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বৃহস্পতিবার বিকালেই শপথ নেওয়ার কথা নতুন মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: পোয়েজের প্রাসাদ থেকে জেল কুঠুরি
ছবি: পিটিআই।