এ ভাবেই বিয়ের কার্ড ছাপানো হয়েছে।
হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করলে এই বিয়ের কার্ডের ‘মাহাত্ম্য’ বোঝার উপায় নেই। দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ কার্ডের মতোই। উপরেই ইংরাজি হরফে লেখা বর-কণের নাম। নীচে সুন্দর একটা গণেশের ছবি। তার নীচে ভেনু। কার্ডের ‘মাহাত্ম্য’ বুঝতে হলে চোখটা নামাতে হবে আরও একটু নীচে।
সেখানে বড় বড় হরফে লেখা রয়েছে: আপনারা ইচ্ছামতো নমো অ্যাপে বিজেপির দলীয় খাতে দান করুন। আর ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দিন। এটাই হবে আমাদের উপহার।
লেখার দু’দিকে বিজেপির দলীয় প্রতীক পদ্মফুলের ছবিও রয়েছে!
নিশ্চয় ভাবছেন কারা এই হবু নবদম্পতি? তাঁরা হলেন গুজরাতের সুরাটের বাসিন্দা যুবরাজ এবং সাক্ষী। এই সুরাট থেকে এর আগেও বিয়ের কার্ডে বিজেপির হয়ে প্রচার করার নজির রয়েছে। ধবল এবং জয়া নামে দুই দম্পতি একই কার্ড ছাপিয়েছিলেন নিজেদের বিয়ের জন্য।
আরও পড়ুন: ৩৩ বছর শুধু কালো চা খেয়ে বেঁচে আছেন ইনি!
যুবরাজ অবং সাক্ষী অবশ্য শুধুমাত্র বিজেপির জন্য ভোট চেয়েই ক্ষান্ত হননি। কার্ডের পাতা ওল্টানোর অপেক্ষা মাত্র! পরের পাতা জুড়ে আবার রাফাল নিয়ে অনেক তথ্যও দিয়েছেন তাঁরা। যার মাথায় লেখা ‘কিপ কাম অ্যান্ড ট্রাস্ট নমো’। অর্থাৎ রাফাল বিতর্কে কান না দিয়ে নমোর উপর ভরসা রাখতে অনুরোধ করেছেন ওই হবু দম্পতি।
আরও পড়ুন: ‘আপনার মেয়েকে অপহরণ করব, বাঁচাতে যা পারেন করুন’! হুমকি মেল কেজরীওয়ালকে
রাফাল নিয়ে ৯টা পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছে ওই কার্ডে। যা শুরু হচ্ছে ‘একজন বোকাও সাধারণ এয়ারক্র্যাফ্টের সঙ্গে রাফাল যুদ্ধবিমানের তুলনা করবেন না’ এই পয়েন্ট দিয়ে। আর শেষ অর্থাৎ ৯ নম্বর পয়েন্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘রাহুল গাঁধী ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রসঙ্গ টেনে এনে রাফাল বিতর্ক উস্কে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁর সমস্ত অভিযোগ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিজ মুখে অস্বীকার করেছেন’। রাফাল নিয়ে বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ এবং অভিযোগের বিপক্ষে পাল্টা যুক্তি দিয়ে সাজিয়েছে মাঝের পয়েন্টগুলো।