পিল্লি দেবী
সারা দিন ঈশ্বরের আরাধনা আর সূর্যাস্তের পর এক কাপ কালো চা। ৩০ বছর ধরে এ ভাবেই বেঁচে রয়েছেন এই মহিলা।
তাঁর নাম পিল্লি দেবী। তবে ছত্তীসগঢ় তাঁকে ‘চা-ওয়ালি চাচি’ নামেই চেনে। ছত্তীসগড়ের কোরিয়ার বাসিন্দা তিনি। পিল্লি দেবীর বর্তমান বয়স ৪৪ বছর। পিল্লি দেবী যখন ১১ বছরের তখন থেকেই শুধু চা খাওয়া শুরু করেন তিনি।
তাঁর বাবা রাতি রাম জানিয়েছেন, তখন পিল্লি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তেন। জনকপুরের পটনা স্কুল থেকে তাঁকে একটি জেলা স্তরে টুর্নামেন্টে যোগ দিতে নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়ি ফেরার পর থেকেই অদ্ভুত আচরণ করতে শুরু করেন। চা ছাড়া কিছু খেতে চাইতেন না। জলও খেতেন না। তবে তখন দুধ চা খেতেন। আর চায়ের সঙ্গে খেতেন বিস্কুট-পাউরুটিও। কিন্তু যত দিন গড়াতে থাকে পিল্লি দেবীর খাদ্যাভ্যাসে আরও বদল ঘটতে থাকে। অবশেষে শুধুমাত্র কালো চা খাওয়া শুরু করেন তিনি। বিস্কুট, পাউরুটি কিছুই আর খান না।
আরও পড়ুন: ‘...অ্যাক্সিডেন্টাল’ নয়, জনতার ভোটে প্রথম দিনে ‘উরি’র রোজগার দ্বিগুণ
তাঁর ভাই বিহারিলাল রাজভাদে জানান, ঘর থেকে কোথাও বার হন না তিনি। সারা দিন তিনি শিবের আরাধনা করেন। আর সূর্যাস্তের পর এক কাপ কালো চা খান। এটাই তাঁর রোজকার রুটিন।
কিন্তু এত দিন ধরে শুধুমাত্র চা খেয়ে কী ভাবে এক জন বেঁচে থাকতে পারেন?
আরও পড়ুন: ফাঁকা রাস্তায় ঠান্ডার মধ্যে পাঁচিলের উপরে কে বসে? পরনে নীল লুঙ্গি..
কোরিয়া জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক এসকে গুপ্ত জানান, এক জন মানুষের পক্ষে এটা একেবারেই অসম্ভব। চা-এ খুবই সামান্য ক্যালোরি রয়েছে। মানুষের ন্যূনতম দৈনন্দিন ক্যালোরির চাহিদাও পূর্ণ হয় না চা থেকে। তিনি বলেন, ‘‘খুবই আশ্চর্যের বিষয়। বিজ্ঞানের নিয়মে, এতগুলো বছর ধরে চা খেয়ে এক জন বাঁচতে পারেন না। নবরাত্রির সময় টানা ৯ দিন উপোস করে থাকা আর ৩৩ বছর ধরে চা উপোস করে থাকা এক নয়। এটা অসম্ভব।’’
পিল্লি দেবীর এই জীবনযাত্রা তাঁর পরিবারের কাছেও একটা বিস্ময়। ‘‘অনেক হাসপাতাল, ডাক্তার করেছি। কিন্তু তিনি কেন এরকম করেন তা জানা যায়নি। তাঁর কোনও অসুখও নেই,’’— বললেন তাঁর ভাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy