Advertisement
E-Paper

বাড়ির ১৫ ফুট নীচে গোপন কুঠুরি, রয়েছে পালানোর পথও! মেরঠে মাদকপাচারের মূলচক্রীর ডেরায় অভিযানে গিয়ে স্তম্ভিত পুলিশ

তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যে ঘরে গোপন কুঠুরির সন্ধান মিলেছে, সেই ঘরটিকে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া হত। ফলে কারও পক্ষে সন্দেহ করাও সম্ভব ছিল না।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:২৬
এই সেই গোপন কুঠুরি। ছবি: সংগৃহীত।

এই সেই গোপন কুঠুরি। ছবি: সংগৃহীত।

বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে সাধারণ একটি ঘর। কিন্তু সেই ঘরে মাটির ১৫ ফুট নীচে একটি গোপন কুঠুরি রয়েছে, আর সেখানেই যে মাদকের বড় কারবার চলে, তা বোঝার উপায় ছিল না। কারণ, প্রথমে ঘরে ঢুকেই চোখে পড়বে থর থরে সাজানো রয়েছে ডেকরের্টসের সমস্ত সামগ্রী। ফলে কারও নজরেই পড়বে না যে, ঘরের এক কোনা দিয়ে নীচের দিকে নেমে গিয়েছে সিঁড়ি। আর সেই সিঁড়ি পৌঁছেছে গোপন কুঠুরিতে।

উত্তরপ্রদেশের মেরঠে মাদকপাচারের মূলচক্রীর বাড়িতে এমন গোপন কুঠুরির হদিস মেলায় স্তম্ভিত পুলিশ। শুধু গোপন কুঠুরিই নয়, রয়েছে পালানোর সমস্ত রকম বন্দোবস্তও। পুলিশ হানা দিলে ওই গোপন কুঠুরি দিয়ে আবার বাড়ির পিছন দিকে ওঠা যায়। আর সেখান থেকে সহজেই পালানো সম্ভব। পুলিশ জানিয়েছে, মূলচক্রী তসলিম খানকে ধরতে না পারলেও তাঁর ছেলে এবং আরও এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে ৫৩০ গ্রাম হাশিস উদ্ধার হয়েছে।

তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যে ঘরে গোপন কুঠুরির সন্ধান মিলেছে, সেই ঘরটিকে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া হত। ফলে কারও পক্ষে সন্দেহ করাও সম্ভব ছিল না। যখন তল্লাশি অভিযান চালানো হয়, তখন দেখা যায়, ঘরের ভিতরে ঠাসা রয়েছে ত্রিপল, প্লাস্টিকের চেয়ার এবং বিয়ের অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়ার নানা সরঞ্জাম এবং সজ্জা। সেগুলি সরাতেই বেরিয়ে আসে গোপন কুঠুরি। পুলিশ সূত্রে খবর, তসলিমের বিরুদ্ধে ৭০টি মামলা ঝুলছে। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তসলিমের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। খুব শীঘ্রই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।

Meerut
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy