ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) খসড়া তালিকা প্রকাশের পর নথির প্রমাণ দিতে হচ্ছে রাজ্যের প্রচুর মানুষকে। ছাড় পাচ্ছেন না জনপ্রতিনিধিরাও। এমনই একজন হাওড়া জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য। তাঁকে শুনানির জন্য তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। নোটিস পেয়ে বিস্মিত ওই প্রবীণ রাজনীতিক।
প্রশাসন সূত্রের খবর, আগামী বছরের ৩ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটের মধ্যে অজয়কে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি নিয়ে সাঁকরাইল বিডিও অফিসে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের ওই চিঠি পেয়ে হতবাক ওই রাজনীতিক।
আরও পড়ুন:
রবিবার অজয় বলেন, ‘‘সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে সমস্ত নির্বাচনে ভোট দিয়েছি।’’ বিবরণ দিয়ে তিনি জানান, ১৯৯৮, ২০০৮, ২০১৩, ২০১৮ এবং ২০২৩ সালে জেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। বাম জমানায় জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা ছিলেন তিনি। পরপর দুই দফায় জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি হিসাবে দায়িত্বভার নিয়েছেন। তার পরেও কমিশন ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে এসআইআরের তথ্যের সঙ্গে মিল নেই বলে জানিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে শুনানিতে ডাকার জন্য উল্লেখ করা কারণটাই পুরোপুরি ভুল। এই ভাবে বহু মানুষকে শুনানিতে ডেকে স্রেফ হয়রানি করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন।’’
হাওড়ার জেলাশাসক পি দিপাপ প্রিয়ার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘আমার জানা নেই। খোঁজ নিচ্ছি।’’