নিজের শহরেই কাজ করল না মোদী ম্যাজিক। এখানকার রেলস্টেশনেই এক সময় চা বিক্রি করেছেন নরেন্দ্র মোদী। পড়েছেন এখানকার স্কুলে। ২০১৪ থেকে এ শহর মোদীর সমার্থক। এখানে হেরে তাই মর্যাদার লড়াইয়ে খানিকটা ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি।
মেহসানা জেলার এই শহর দু’টো বিধানসভা কেন্দ্রে বিভক্ত— খেরালু আর উনঝা। খেরালুতে জিতেছে বিজেপি। কিন্তু উনঝাতে পাঁচ বারের বিধায়ক নারায়ণভাই লাল্লুদাস পটেলকে প্রায় ১৯ হাজার ভোটে হারিয়েছেন কংগ্রেসের আশাবেন দ্বারকাদাস পটেল।
কেন? উত্তরটা লুকিয়ে আছে ভডনগর স্টেশনের এক চা-বিক্রেতার কথাতেই। যিনি জানাচ্ছেন, তুলোর চাষ ছেড়ে অন্য রুজি খুঁজতে হচ্ছে। কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ প্রবল। ক্ষমতায় এলে দশ দিনের মধ্যে কৃষিঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাহুল। তাতে কৃষকদের বড় অংশ প্রভাবিত হন বলে খবর। সেই সঙ্গে পাতিদার ভাবাবেগও ছিল। এই কেন্দ্রে ৪০ শতাংশই ওই সম্প্রদায়ের। বছর দু’য়েক আগে পাতিদার আন্দোলনের সময়ে পুলিশের গুলিতে নিহত ১৪ জনের মধ্যে ছিলেন উনঝার এক বাসিন্দাও। ২০১৫ সালে এলাকার পুরভোটে দলীয় প্রতীকে কোনও প্রার্থীকে দাঁড় করায়নি বিজেপি।
বিধানসভা ভোটের আগে উনঝায় উমিয়া মাতাজি সংস্থানের জন্য ৮ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে কিছুটা জমি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু বিজেপির গৌরব যাত্রায় পাতিদার যুবকদের গোলমালের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে প্রচারেই আসেননি মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী। গড় শেষমেশ হাতছাড়া।