Godhara

গোধরা: মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে গুজরাত সরকার

গোধরা মামলায় ৩১ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। তার মধ্যে ১১ জনকে নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা দেয় এবং ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। পরে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৪৯
Share:

সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল ছবি।

ব্যবধান মাত্র ছ’মাসের। বিলকিস বানো গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জনকে গত ১৫ অগস্ট মুক্তি দিয়েছিল গুজরাত সরকার। আর আজ গোধরা-কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে নিজেদের অবস্থান জানাতে গিয়ে গুজরাতের বিজেপি সরকার বলল, অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত।

Advertisement

শীর্ষ আদালতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পি এস নরসিমা এবং বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালার বেঞ্চে গোধরা-কাণ্ডে অভিযুক্তদের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল আজ। সেই মামলায় গুজরাত সরকারের তরফে হাজির ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। আদালতে তিনি বলেছেন, ‘‘সাবরমতী এক্সপ্রেসে শিশু, মহিলা-সহ ৫৯ জনকে জীবন্ত জ্বালিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এই ধরনের অপরাধ বিরলের মধ্যে বিরলতম। তাই আমরা চাই, গুজরাত হাই কোর্ট যাদের মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তেযাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে, তাদের মৃত্যুদণ্ডই দেওয়া হোক।’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, সাবরমতী এক্সপ্রেসের যে কামরায় আগুন লাগানো হয়েছিল, সেটি বাইরে থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই মামলার শুনানি তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছে প্রধান বিচারপতিরনেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।

প্রসঙ্গত, গোধরা মামলায় ৩১ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। তার মধ্যে ১১ জনকে নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা দেয় এবং ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময় গুজরাত হাই কোর্ট ওই ১১ জনের ফাঁসির সাজা রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। পরে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলায় হাই কোর্টে দোষী সাব্যস্ত দু’জনকে জামিন দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এবং সাত জনের জামিনের আবেদন আপাতত বিচারাধীন। প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাতের গোধরায় সাবরমতী এক্সপ্রেসের এস-৬ কামরায় আগুন লাগে এবং জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয়েছিল ৫৯ জনের। ওই ঘটনার পরেই গুজরাত জুড়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল।

Advertisement

গোধরা মামলায় অভিযুক্তদের জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩০ জানুয়ারি নোটিস দিয়ে গুজরাত সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। অবস্থান জানাতে গিয়ে গুজরাত সরকার বলেছে, এটা শুধু ‘ট্রেন পাথর ছোড়ার’ ঘটনা নয়। তুষার মেহতা বলেন, ‘‘কয়েকজন বলছেন, তাঁরা ওই ট্রেনে ইট ছুড়েছিলেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কামরা বাইরে থেকে বন্ধ করে তাতে আগুন লাগানো এবং ইট ছোড়া হয়েছিল। অতএব, এটা শুধু ইট ছোড়ার ঘটনা নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন