Gujarat High Court

শৌচালয়ে বসে ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজির! ধরা পড়তেই স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করল গুজরাত হাই কোর্ট

শৌচালয়ে বসে গুজরাত হাই কোর্টের ভার্চুয়াল শুনানিতে যোগ দিয়েছিলেন এক যুবক। ওই মামলার নিষ্পত্তি হয়ে গেলেও শৌচালয়ে বসে শুনানিতে যোগ দেওয়ার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৫ ১৮:০৫
Share:

শৌচালয়ে বসে গুজরাত হাই কোর্টের ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশগ্রহণ। ছবি: সংগৃহীত।

শৌচালয়ে বসে ভার্চুয়াল শুনানিতে যোগ দেওয়ার অভিযোগে এক যুবকের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করল আদালত। সম্প্রতি গুজরাত হাই কোর্টের এক মামলার ভার্চুয়াল শুনানির সময় ওই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নজরে আসতেই ওই যুবকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা রুজুর নির্দেশ দিয়েছে আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২০ জুন। বিচারপতি নির্ঝর এস দেসাইয়ের বেঞ্চে মামলার শুনানি চলছিল। সেই সময়েই শৌচালয়ে বসে আদালতের ভার্চুয়াল শুনানিতে যোগ দেন ‘সামাদ ব্যাটারি’ নামে এক ব্যবহারকারী। পরে জানা যায়, ওই যুবকের নাম আব্দুল সামাদ। আদালতের শুনানি সরাসরি সম্প্রচারের সময় দেখা যাওয়া ওই অংশটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

পরে গত ৩০ জুন হাই কোর্টের বিচারপতি এএস সুপেহিয়া এবং বিচারপতি আরটি বচ্চনির ডিভিশন বেঞ্চ ওই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপের নির্দেশ দেয়। ভিডিয়োয় দেখা যাওয়া যুবকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা রুজুর জন্য হাই কোর্টের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের ওই মৌখিক নির্দেশ গত বৃহস্পতিবার আপলোড করা হয়েছে।

Advertisement

পিটিআই অনুসারে, নির্দেশনামায় হাই কোর্ট জানিয়েছে, সরাসরি সম্প্রচার চলাকালীন শুনানিতে অংশগ্রহণকোরীদের ‘বিশৃঙ্খল’ এবং ‘অনিয়ন্ত্রিত’ আচরণের প্রবণতা ঘন ঘন নজরে আসছে। শৌচালয়ে বসে শুনানিতে যোগ দেওয়ার ঘটনা কেন আদালত অবমাননা বলে বিবেচিত হবে না, তার ব্যাখ্যা চেয়ে ওই যুবককে নোটিস পাঠাতে বলা হয়েছে। দু’সপ্তাহ পরে এই বিষয়টির শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত। ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োটি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করে মুছে ফেলা প্রয়োজন।

বস্তুত, করোনার সময় থেকে গুজরাত হাই কোর্ট আইনজীবী এবং মামলাকারীদের ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে হাজিরার অনুমতি দেয়। এজলাসের শুনানি প্রক্রিয়াও হাই কোর্টের ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। সামাদের ওই ঘটনার অংশটিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। সংবাদমাধ্যম ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুসারে, একটি এফআইআর বাতিলের মামলায় বিবাদী পক্ষ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাদ। তিনিই ছিলেন মামলার মূল অভিযোগকারী। দুই পক্ষের মধ্যে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ মীমাংসার পর আদালত ওই এফআইআরটি বাতিল করে দেয়। তবে শৌচালয় থেকে এজলাসে ভার্চুয়ালি হাজির হওয়ার জন্য সামাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement