বিয়ের দিন হবু স্বামীর হাতে খুন হন সোনি রাঠৌর। ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ের অনুষ্ঠানের আর ঘণ্টাখানেক বাকি ছিল। হঠাৎ ঘরের মধ্যে শুরু হবু স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া। খানিক ক্ষণ পরে ওই ঘর থেকে বেরিয়ে যান পাত্র। তার পর কনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেন দুই পরিবারের লোকজন। শনিবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের ভাবনগর এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, সাজন বড়াইয়া এবং সোনি রাঠৌরের বিয়ে ছিল শনিবার। বছর খানেক ধরে একত্রবাস করতেন তাঁরা। বিয়ের বেশ কিছু উপাচার মিটে গিয়েছিল আগেই। শনিবার ছিল বিয়ের আসর। সাজগোজের সময় পাত্র-পাত্রীর অশান্তি শুরু হয়। সেখানেই হবু স্ত্রী তথা প্রেমিকাকে খুন করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান সাজন।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, শাড়ি নিয়ে ঝগড়ার সূত্রপাত হয়। বিয়েতে পরার শাড়ি পছন্দ হয়নি কনের। ওই নিয়ে পাত্রের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। সেখান থেকে টাকাপয়সা এবং দেনাপাওনা নিয়ে ঝগড়া হয় তাঁদের। তখন রাগের চোটে হবু স্ত্রীকে লোহার পাইপ দিয়ে পেটান পাত্র। কনের মাথা দেওয়ালে ঠুকে দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে বিয়ের মণ্ডপও ভেঙে দেন। অকস্মাৎ এই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যান উপস্থিত সকলে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় সোনির দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশ।
রবিবার ভাবনগরের এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘দুই পরিবারের মত ছিল না। তার পরেও ওই যুবক-যুবতী একত্রবাস করতেন। সম্প্রতি তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে শনিবার দুই পরিবারের বেশ কয়েক জন সদস্য হাজির হয়েছিলেন অনুষ্ঠানে। কিন্তু বিয়ের কিছু ক্ষণ আগেই বর কনেকে খুন করেন বলে অভিযোগ। শাড়ি এবং টাকা নিয়ে দু’জনের ঝগড়া হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। বাকিটা তদন্তসাপেক্ষ।’’
ইতিমধ্যে কনের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন তদন্তকারীরা। অন্য দিকে, অভিযুক্ত যুবক স্ত্রীকে খুনের আগে কয়েক জন প্রতিবেশীর সঙ্গে অশান্তিতে জড়ান এবং তাঁদের মারধর করেন অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে দুটো পৃথক এফআইআর দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।