Plane Crash in Ahmedabad

রিকশা চালিয়ে কন্যাকে পড়িয়েছেন বাবা, চাকরি পেয়ে লন্ডনে যাচ্ছিলেন তরুণী! মৃত্যু হল বিমান দুর্ঘটনায়, পরিবারে হাহাকার

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসারে অভাব অনটন দেখে বড় হয়েছিলেন পায়েল। বাবা সুরেশভাই খটিক কন্যার উচ্চশিক্ষার জন্য দিনরাত খেটে গিয়েছেন। রিকশা চালিয়ে কন্যার পড়াশোনার খরচ চালিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৫ ১৭:৫৩
Share:

বিমান দুর্ঘটনায় মৃত পায়েল খটিক। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

বাবা রিকশাচলক। অনেক কষ্ট করে মেয়েকে পড়াশোনা করিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরিও পেয়েছিলেন তরুণী। চাকরির সুবাদে সংস্থা থেকে তাঁকে লন্ডনে পাঠানো হচ্ছিল। প্রথম বার বিমানে চড়া, প্রথম বার বিদেশে যাওয়া, এই বিষয়গুলি নিয়ে অত্যন্ত উচ্ছ্বলিত ছিলেন গুজরাতের হিম্মতনগরের তরুণী পায়েল খটিক। কিন্তু তাঁর স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসারে অভাব অনটন দেখে বড় হয়েছিলেন পায়েল। বাবা সুরেশভাই খটিক কন্যার উচ্চশিক্ষার জন্য দিনরাত খেটে গিয়েছেন। রিকশা চালিয়ে কন্যার পড়াশোনার খরচ চালিয়েছেন। তাঁকে উপযুক্ত করে তুলেছিলেন। পায়েলও অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি একটি নামী বেসরকারি সংস্থায় চাকরি পেয়েছিলেন।

পরিবার সূত্রে খবর, নতুন চাকরি পাওয়া নিয়েও খুব উচ্ছ্বস্তি ছিলেন পায়েল। তার উপর তাঁকে লন্ডনে পাঠানো হচ্ছে সংস্থা থেকে এই খবর পাওয়ায় আরও উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন। লন্ডনে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে ছিলেন। বৃহস্পতিবার বাবা সুরেশভাই কন্যাকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়ে আসেন। কিন্তু তার কিছু পরেই খবর আসে বিমান ভেঙে পড়েছে। সেই দুঃসংবাদ বাড়িতে পৌঁছোতেই হাহাকার নেমে আসে খটিক পরিবারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement