অপহরণের অভিযোগ হার্দিকের

তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে নাটক হয়েছিল দিন কয়েক আগেই। আবারও শিরোনামে হার্দিক পটেল। প্রায় গোটা একটা দিন নিখোঁজ থাকার পরে আজ তাঁর হদিস পাওয়া গেল। আর শুধুমাত্র হার্দিকের জন্যই কাল রাত পৌনে তিনটে পর্যন্ত খোলা ছিল গুজরাত হাইকোর্ট।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আমদাবাদ শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৪:১৬
Share:

বুধবার আমদাবাদে। ছবি: পিটিআই।

তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে নাটক হয়েছিল দিন কয়েক আগেই। আবারও শিরোনামে হার্দিক পটেল। প্রায় গোটা একটা দিন নিখোঁজ থাকার পরে আজ তাঁর হদিস পাওয়া গেল। আর শুধুমাত্র হার্দিকের জন্যই কাল রাত পৌনে তিনটে পর্যন্ত খোলা ছিল গুজরাত হাইকোর্ট।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত কালকের এক সভা থেকে। আরাবল্লী জেলার বায়াদ তালুকায় কাল পটেলদের সংরক্ষণ নিয়ে জনসভা করেছিলেন হার্দিক। পুলিশ সেই সভার অনুমতি দেয়নি। কিন্তু তাও কাল সেখানে সভা করেন তিনি। পুলিশ হার্দিক ও তাঁর ২০ জন সঙ্গীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করে। কিন্তু কাল ওই সভা করার পর থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত কোনও খোঁজ ছিল না তাঁর। এ দিন জনসমক্ষে আসার পরে আবার হার্দিক জানান, তাঁকে অস্ত্র দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। কাল সারা রাত তাদের হেফাজতেই ছিলেন তিনি।

কাল সন্ধেতেই গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন হার্দিকের আইনজাবী বি এম মাঙ্গুকিয়া। তাঁর বক্তব্য ছিল, বায়াদের সভার পর থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না হার্দিককে। পুলিশ অন্যায় ভাবে আটক করে রেখেছে তাঁর মক্কেলকে। রাত একটা কুড়ি মিনিট নাগাদ বিচারপতি এম আর শাহ এবং কে জে ঠাকেরের বেঞ্চ মামলাটি শুনতে শুরু করে। আদালতের গোটা প্রক্রিয়াটাই তখন চলছিল এক বিচারপতির বাড়িতে।

Advertisement

আদালত অভিযোগ শোনার পর গুজরাত পুলিশকে নির্দেশ দেয়, হার্দিককে কোর্টে পেশ করতে। গুজরাত সরকার, পুলিশের ডিজি, আরআইজি এবং আরাবল্লী জেলার এসপিকে আজকের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করতেও বলে হাইকোর্ট। উত্তরে গুজরাত পুলিশ জানায়, প্রশাসনের নির্দেশ না মেনে সভা করার জন্য কাল যখন হার্দিককে তারা গ্রেফতার করতে আসে, সেই সময় অন্য একটি গাড়ি করে কার্যত পালিয়ে যান হার্দিক। তার পর থেকে পুলিশও খুঁজে পাচ্ছে না তাঁকে। সরকারের আইনজীবী মিতেশ আমিন আদালতকে আরও জানান, হার্দিক যেহেতু পুলিশের হেফাজতে নেই, ফলে তাঁকে আদালতে পেশ করার প্রশ্নই উঠছে না। জবাবে আদালত বলে, হার্দিক এ দেশের নাগরিক। এবং তিনি নিখোঁজ। তাই তাঁকে খুঁজে বার করার দায়িত্ব পুলিশেরই। রাত দু’টো চল্লিশ নাগাদ শেষ হয় শুনানি।

আজ সকাল থেকে সংবাদমাধ্যমে চাউর হয় হার্দিকের নিখোঁজ হওয়ার খবর। বিকেলের দিকে জানা যায়, খোঁজ মিলেছে পটেলদের এই নেতার। বিকেলে সংবাদমাধ্যমকে হার্দিক জানান অপহরণ করা হয়েছিল তাঁকে। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি যার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল, সে হুমকিও দিয়েছে হার্দিককে। তবে, ওই ব্যক্তি পুলিশ কি না তিনি জানেন না।

হার্দিকের দাবি, সুরেন্দ্রনগর জেলার ধ্রাঙ্গগাধরা শহরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তার পর তিনি সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁরাই তাঁকে ফিরিয়ে আনেন। কে বা কারা হার্দিককে অপরহণ করে সারা রাত আটকে রেখেছিল, তা জানা যায়নি এখনও। পটেল নেতাদের দাবি, সরকারের লোকজনই এ কাজ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, আগামী কাল আদালতে পেশ করা হবে হার্দিককে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন