অনন্তনাগে লস্কর কম্যান্ডার জুনেইদ মাট্টুর হত্যাকে বড় সাফল্য বলে প্রচার করছে সেনা ও সরকার। কিন্তু সেই জুনেইদের শেষকৃত্যে স্থানীয়দের উপস্থিতি আর জঙ্গিদের ‘গান স্যালুট’ বুঝিয়ে দিল উপত্যকায় প্রশাসনের কর্তৃত্ব ফিরতে এখনও ঢের দেরি।
আজ সোপিয়ানের হেফ গ্রামে জুনেইদের শেষকৃত্যে জড়ো হন প্রচুর মানুষ। ভিড় সামলাতে আট বার প্রার্থনার ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সেই ভিড়ে প্রথমে হাজির হয় দুই জঙ্গি। পরে আসে জনা তিনেকের একটি দল। শূন্যে গুলি ছুড়ে জুনেইদকে ‘গান স্যালুট’ দেয় তারা। আজাদির পক্ষে ও ভারতের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেয় জনতা।
আগেও কয়েক বার জঙ্গি নেতাদের শেষকৃত্যে হাজির হয়েছে তাদের সহযোগীরা। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশনস গ্রুপের এক অফিসারের কথায়, ‘‘বিষয়টি উদ্বেগের। জঙ্গিদের পক্ষে সমর্থন বাড়ছে। শেষকৃত্যে ১০ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে কোনও পদক্ষেপ অসম্ভব।’’
এর পাশাপাশি লস্কর নেতা বশির লস্করির সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতেও উঠেপড়ে লেগেছে বাহিনী। কাল ফিরোজ আহমেদ দার-সহ ছয় পুলিশকে বশিরের নেতৃত্বাধীন লস্কর জঙ্গিরাই খুন করেছে বলে দাবি পুলিশের। ২০০৩ সালে হিজবুল মুজাহিদিনে যোগ দিয়েছিল বশির। ২০১৫ সালে সে লস্করে যোগ দেয়।