চরম অত্যাচার করেছে পুলিশ, দাবি সেই গাড়ি চালকের

একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অশোক নিজেও জানিয়েছেন, স্বীকারোক্তি নিতে তাঁর উপর জেলে নির্মম অত্যাচার চালিয়েছে পুলিশ। একই কথা বলেছেন তাঁর স্ত্রীও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৫১
Share:

অশোক কুমার।

রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যা মামলায় গত কালই জামিন পেয়েছেন ধৃত বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমার। তার পরেই গুরুগ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিল তাঁর পরিবার।

Advertisement

একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অশোক নিজেও জানিয়েছেন, স্বীকারোক্তি নিতে তাঁর উপর জেলে নির্মম অত্যাচার চালিয়েছে পুলিশ। একই কথা বলেছেন তাঁর স্ত্রীও। তাঁর অভিযোগ, সে দিন ঘটনার পরে প্রদ্যুম্নের রক্তাক্ত দেহ গাড়িতে তুলতে অশোককে বাধ্য করা হয়েছিল।

পাশাপাশি, তাঁর পরিবারের আরও দাবি, পুলিশ অশোককে বলেছিল, ‘‘আসলে এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে। তাই তুমি অপরাধ কবুল করে নাও। কিন্তু এর জন্য তোমায় কোনও রকম সমস্যায় পড়তে হবে না। আমরা সামলে নেব। আর এটা খুবই ছোট ঘটনা। খুব তাড়াতাড়ি সব কিছু ধামাচাপা পড়ে যাবে।’’

Advertisement

অত্যাচার প্রসঙ্গে অশোক জানিয়েছেন, স্বীকারোক্তি নিতে তাঁর উপর নৃশংস অত্যাচার চালিয়েছে পুলিশ। উল্টো করে ঝুলিয়ে বেধড়ক মারা হয়েছে তাঁকে। যত ক্ষণ না অশোক খুনের কথা স্বীকার করেছেন, তত ক্ষণ ধরেই চলেছে নির্মম অত্যাচার। এখানেই শেষ নয়, তাঁর উপর ইঞ্জেকশনও প্রয়োগ করেছে পুলিশ। অত্যাচারের চোটে এক সময় জ্ঞান হারান অশোক। তার পরে পুলিশ যা জিজ্ঞেস করছিল, তাতে ‘হ্যাঁ’ বলে যান তিনি। অশোকের দাবি, ওই সময় তিনি স্বীকারোক্তি দেওয়ার মতো অবস্থাতেই ছিলেন না।

তবে জেল থেকে বেরিয়ে এলেও অত্যাচারের ক্ষত এখনও দগদগে। সারা গায়ে ভয়ানক ব্যথা রয়েছে অশোকের। ঠিক করে উঠে বসতেও পারছেন না। পা-ও ভাঁজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। জানালেন, অত্যাচারের জেরে কোমর আর
পায়ে প্রবল যন্ত্রণা। বুকেও খুব ব্যথা রয়েছে তাঁর।

প্রশ্ন উঠেছে, অশোক কি আর রায়ানে ফিরবেন? অশোক জানান, আগে তিনি দিনমজুরিও করতেন। কিন্তু এখন তাঁর শারীরিক অবস্থার জেরে সেই রাস্তাও বন্ধ।

ফলে পরিবারটিকে ঘিরে রয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement