অরুণাচলে সরকার গড়া নিয়ে বিতর্ক কাটতে কাটতেও যেন কাটছেই না। গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে একবার কংগ্রেস থেকে পিপিএ, ফের কংগ্রেসে এবং এখন বিজেপি-পিপিএ জোট সরকার পর্বে অরুণাচল প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্শিতে বসেছেন তিন জন। আত্মঘাতী হয়েছেন কংগ্রেসের হাত
থেকে ক্ষমতা কেড়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া কালিখো পুল। এখন বিজেপি-পিপিএ জোট রাজ্য শাসন করছে পেমা খাণ্ডুর নেতৃত্বে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পাদি রিচোর আবেদনের ভিত্তিতে গৌহাটি হাইকোর্ট ফের কংগ্রেস ত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী-সহ ৪৩ জন বিধায়ক ও স্পিকারকে নোটিশ পাঠালো। সূত্রের খবর, যে ভাবে একের পর এক সকলে দল ছেড়ে পিপিএতে যোগ দিয়ে রাতারাতি পিপিএ সরকার তৈরি করেছেন তার যৌক্তিকতা নিয়ে নোটিসে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
জবাব দেওয়ার জন্য আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। স্পিকার ১৬ সেপ্টেম্বর যে নির্দেশের মাধ্যমে সব কংগ্রেস বিধায়ককে পিপিএ সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন—তার উপরেও স্থগিতাদেশের কথা বিবেচনা করার কথা বলা হয়েছে আদালতের নির্দেশে। কংগ্রেসের দাবি ছিল, নির্বাচনবিধি এবং সংবিধান অনুযায়ী এ ভাবে কোনও জাতীয় দল আঞ্চলিক দলে মিশে যেতে পারে না।