জুয়া, শব্দবাজিতে নাজেহাল হাফলং

আলোর উৎসব মেতে উঠল ডিমা হাসাও। রোশনাইয়ে সেজেছে গোটা জেলা। কিন্তু তাতে কিছুটা অন্ধকার ছড়িয়েছে প্রকাশ্যে জুয়ার ঠেক। এতে সমস্যায় জেলার বাসিন্দারা। কালীপুজো ও দীপাবলি উপলক্ষ্যে হাফলং শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসেছে জুয়ার ঠেক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাফলং শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:১৮
Share:

আলোর উৎসব মেতে উঠল ডিমা হাসাও। রোশনাইয়ে সেজেছে গোটা জেলা। কিন্তু তাতে কিছুটা অন্ধকার ছড়িয়েছে প্রকাশ্যে জুয়ার ঠেক। এতে সমস্যায় জেলার বাসিন্দারা।

Advertisement

কালীপুজো ও দীপাবলি উপলক্ষ্যে হাফলং শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসেছে জুয়ার ঠেক। তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। প্রশাসন ও পুলিশের তরফে পদক্ষেপের দাবি উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশের মদতেই কিছু জায়গায় চলছে জুয়ার ঠেক। হাফলং শহরের প্রতিটি পুজোমণ্ডপ, কালীমন্দির, বাজার, হাফলং সরকারি হাসপাতাল লাগোয়া সদর থানার পাশেও ‘ঝাণ্ডিমুণ্ডার বোর্ড’ বসানো হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, জুয়ার ঠেক চালানোর অনুমতি দিয়েছে হাফলং পুলিশই। জেলার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, হাফলং শহরে ঝাণ্ডিমুণ্ডার ৫০টি বোর্ড বসেছে। প্রতি দিন সে সব থেকে ২৫-৩০ হাজার টাকা তুলছে পুলিশ। জুয়ার ঠেকের নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশকর্মীদের একাংশ। তবে জেলার পুলিশকর্তারা এই অভিযোগ মানতে চাননি।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত বছর কালীপুজোয় হাফলংয়ের কাছে ছনটিলাটে ঝাণ্ডিমুণ্ডার আসরে অশান্তির জেরে গুলি চালায় পুলিশ। জুয়ার ঠেক থেকে পুলিশের টাকা তোলা নিয়েই ওই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ।

জুয়ার পাশাপাশি শব্দদানবের তাণ্ডবেও নাজেহাল ডিমা হাসাও। চিনা বাজি ও শব্দবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও, প্রশাসন তাতে রাশ টানতে পারেনি। গত কাল রাত বাড়তেই শব্দবাজির তাণ্ডব শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকটি দোকান থেকে চিনা বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন