হজযাত্রায় ভর্তুকি তুলে দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হলো কেন্দ্রের খসড়া হজ নীতিতে। সেইসঙ্গে ৪৫ বছরের বেশি বয়সি মহিলাদের পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই হজে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ারও প্রস্তাব রয়েছে ওই খসড়ায়। সে ক্ষেত্রে ওই মহিলাদের কমপক্ষে চার জনের দল গড়ে হজযাত্রা করতে হবে। প্রাক্তন সচিব আফজল আমানুল্লার নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি এই খসড়া তৈরি করেছে। সম্প্রতি তা জমা পড়েছে সংখ্যালঘু মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির দফতরে।
২০২২ সালের মধ্যে দফায় দফায় হজে ভর্তুকি তুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই ভর্তুকি তুলে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর।
নরেন্দ্র মোদী সরকার ২০১৮ সালের হজযাত্রা নয়া নীতি অনুযায়ী করতে চায় বলে জানিয়েছেন নকভি। তাঁর সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রের খবর, হজযাত্রায় খরচ কমলে যে টাকা সরকারের হাতে থাকবে তা মুসলিম সম্প্রদায়েরই উন্নতির জন্য খরচ করা হবে।
সংখ্যালঘু মন্ত্রকের অফিসারেরা আরও জানিয়েছেন, এত দিন মহিলারা হজে যেতে গেলে এক জন পুরুষ সঙ্গীর (মেহরম) প্রয়োজন হতো। বাবা, ভাই বা ছেলের মতো আত্মীয়, যাঁদের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কের সম্ভাবনা নেই তাঁরাই মেহরম হতে পারেন। কিন্তু নয়া নীতিতে ৪৫ বছরের বেশি বয়সি মহিলাদের মেহরম ছাড়াই হজযাত্রার অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে কমিটি। সে ক্ষেত্রে ওই মহিলাদের কমপক্ষে চার জনের দল গড়ে যেতে হবে। ৪৫ বছরের কম বয়সি মহিলাদের অবশ্য এখনও মেহরমের সঙ্গে যেতে দেওয়ার কথাই বলা হয়েছে।
হজযাত্রীদের বিমানের বদলে জাহাজে পাঠানোর প্রস্তাবও রয়েছে খসড়া নীতিতে। তাতে খরচ কমবে। তাই হজযাত্রীদের যাত্রার স্থান (এমবার্কেশন পয়েন্ট) ২১টি থেকে কমিয়ে ৯টি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রক সূত্রে খবর, দিল্লি, লখনউ, কলকাতা, অমদাবাদ, মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু ও কোচি থেকে জাহাজে হজযাত্রীদের পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এই বিষয়ে সৌদি আরব সরকারের সঙ্গে কথা বলবে দিল্লি। তার পরে এই যাত্রার বিষয়ে জাহাজ সংস্থাগুলি কতটা আগ্রহী জানতে দরপত্র প্রকাশ করা হবে।
রাজ্যের সংখ্যালঘু দফতরের প্রতিমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা ও রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যান নাজিমুল হক জানান, নয়া নীতি নিয়ে তাঁদের এখনও কিছু জানা নেই।