বৃহস্পতিবার পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে হার্দিককে জামিন দিল আদালত। ফাইল চিত্র।
অবশেষে জামিন পেলেন পতিদার (পটেল) সংরক্ষণ আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটেল। বৃহস্পতিবার পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে হার্দিককে জামিন দিল গুজরাতের স্থানীয় আদালত। ভোটের গুজরাতে কংগ্রেসকে সমর্থন করতে পারেন হার্দিক—এমন জল্পনা শুরু হওয়ার পরেই গত বুধবার জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল হার্দিকের নামে।
২০১৫ সালের একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল হার্দিক পটেলের বিরুদ্ধে। এক বিধায়কের দফতরে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে মামলা হয়েছিল হার্দিক-সহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে। সেই মামলার তিনটি শুনানিতে হার্দিক হাজিরা দেননি বলে খবর।
আরও পড়ুন:
সালাউদ্দিনের ছেলের বাড়িতে এনআইএ তল্লাশি
ওই ঘটনার পরেই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলতে শুরু করেছিলেন বিরোধী দলগুলি। সরব হয়েছিলেন পতিদার আন্দোলনের অন্য নেতারাও । ওই গ্রেফতারি পরোয়ানার নেপথ্যে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহই, এমন মন্তব্য করেন আর এক পতিদার নেতা লালজি পটেল।
গত মঙ্গলবারই শোনা গিয়েছিল, কংগ্রেসের সামনে বেশ কিছু শর্ত রেখেছেন হার্দিক পটেল। কংগ্রেস শর্ত মেনে নিলে গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে হার্দিক সদলবলে কংগ্রেসকেই সমর্থন করবেন বলে জোর গুঞ্জন ওঠে। কিন্তু এই গুঞ্জন শুরু হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই হার্দিক পটেলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় রাজনৈতিক বিতর্কও অন্য মাত্রা পেয়ে গিয়েছে।
পতিদার আন্দোলনের অন্যতম নেতা লালজি পটেলের বিরুদ্ধেও জারি হয়েছে পরোয়ানা। তিনি জানিয়েছেন, মাত্র এক দিন শুনানিতে হাজির হননি তিনি। তার জন্য জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি হয় কী ভাবে, প্রশ্ন লালজির। তাঁর কথায়, ‘‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণেই সম্ভবত এ রকম ঘটল। শুনানির একটা তারিখে হাজির হতে না পারলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়, এমনটা কেউ শোনেননি।’’