নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ টালবাহানার পরে আজ গুজরাতের ভোটের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এ কে জ্যোতি জানান, ৯ ও ১৪ ডিসেম্বর দু’টি পর্বে ভোট হবে গুজরাতে। ফল ঘোষণা হবে ১৮ ডিসেম্বর। ওই একই দিনে ফল ঘোষণা হবে হিমাচলপ্রদেশেরও।
দু’সপ্তাহ আগে হিমাচলে ভোট ঘোষণার দিনে গুজরাতে ভোটের দিন ঘোষণা না করায় সমালোচনায় মুখর হয়েছিল বিরোধীরা। সেই আক্রমণ আজও অব্যাহত থেকেছে। কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেছেন, ‘‘শাসক শিবিরের কথা মেনেই কমিশন ভোট ঘোষণা পিছিয়ে দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী যাতে ভোটের আগে নতুন প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন, তার সুযোগ করে দিয়েছে কমিশন।’’
বিরোধীদের এই আক্রমণের জবাবে মুখ খুলতে হয়েছিল মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে। তাঁর মূল যুক্তি ছিল, গুজরাতে নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হলে বন্যাত্রাণের কাজ ব্যাহত হতে পারে। সেই যুক্তিকে কটাক্ষ করে আনন্দ শর্মার বক্তব্য, ‘‘দেখার বিষয় হল ত্রাণের ফায়দাটা কে পেল? বন্যা বিধ্বস্তরা না কি বিজেপি!’’ ওই রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি ভরত সিংহ সোলাঙ্কির মতে, ‘‘পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের ভাল ফল দেখে ভয় পেয়েই ভোট ঘোষণার দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়।’’ তবে বিরোধীদের সব অভিযোগ উড়িয়ে আজ বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি বলেন, ‘‘অহেতুক আগে থেকে ভোট ঘোষণা তথা নির্বাচনী আচরণবিধি চালু করে উন্নয়নের কাজ ব্যাহত করা অর্থহীন। কমিশন ঠিক কাজই করেছে।’’
ভোটের দিন ঘোষণা নিয়ে টালবাহানায় আটকে ছিল সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের সময় ঘোষণাও। সাধারণত শীতকালীন অধিবেশন নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হয়। চলে এক মাস। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে ভোটের কথা মাথায় রেখে সরকারের একটি অংশ ওই অধিবেশন এগিয়ে আনা ও সংক্ষিপ্ত করার পক্ষে। ১৩ নভেম্বর থেকে শুরু করে, ডিসেম্বরের গোড়াতেই অধিবেশন গুটিয়ে ফেলার পক্ষে শাসক দল। যাতে সংসদ শেষ হতেই দলের তাবড় নেতারা গুজরাতে ঘাঁটি গেড়ে ভোট প্রচারে নামতে পারেন। বিজেপি সূত্রের খবর, ৪-৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ শেষ করে গুজরাতে শেষ পর্বের প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে বিজেপি।
যদিও অধিবেশন কমানোর বিষয়টি মানতে নারাজ বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, কোনও রাজ্যে ভোটের কারণে সংসদের অধিবেশন কম করা হবে এটা মানা সম্ভব নয়। এ যাবৎ যে ভাবে এক মাসের অধিবেশন হয়ে এসেছে, এ বারও তাই করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy