তলে তলে বিক্ষোভের আঁচটা ছড়াচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই সেটা চাপা দিতে জাঠ নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসল হরিয়ানা সরকার। সূত্রের খবর, তাদের দাবি না মানা হলেই শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ফের আন্দোলনে নামার তোড়জোড় শুরু করে জাঠ নেতারা। আঁচ পেয়েই সরকার কোমর বেঁধে নেমে পড়ে। কারণ এ বার আর কোনও রকম ঝুঁকি নিতেই সাহস পায়নি সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতে যে ভাবে জাঠদের আন্দোলনে হরিয়ানা অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল, ফের যাতে সেই ছবি ফিরে না আসে তাই আগেভাগেই ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর পুলিশ ও আধাসেনা মোতায়েন করা হয়। নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় মুনাক ক্যানালকে। রোহতক, হিসারে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় রোহতক, ঝাঁঝর এবং সোনিপতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ রেখে চলেছে।
সংরক্ষণের দাবিতে গত ফেব্রুয়ারিতে পুরো রাজ্য জুড়ে আন্দোলন শুরু করে জাঠেরা। বাস, ট্রেন এবং অন্যান্য যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয়। লুঠপাট চালানো হয় বিভিন্ন জায়গায়।