Haryana

হরিয়ানায় যুবককে মারধরে গ্রেফতার ১

এই ঘটনায় ২০১৫ সালে উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে গোমাংস রাখার ‘অপরাধে’ পিটিয়ে খুনের ছায়া দেখছে নানা শিবির।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

গুরুগ্রাম শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২০ ০৪:৫৩
Share:

ট্রাকচালককে হাতুড়ি মারার এই ছবি ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

গুরুগ্রামে গত কাল মোষের মাংস ভর্তি ট্রাক নিয়ে যাওয়ার সময়ে এক যুবককে মারধরের ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

Advertisement

গত কাল গুরুগ্রামে মোষের মাংস ভর্তি ট্রাক নিয়ে যাচ্ছিলেন লুকমান খান নামে এক যুবক। অভিযোগ, পথে ট্রাক থামিয়ে তাঁকে মারধর করে এক দল দুষ্কৃতী। তাঁকে হাতুড়ি দিয়েও আঘাত করা হয়। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এক পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও প্রথমে হস্তক্ষেপ করেননি। পরে লুকমানকে ওই ট্রাকেই তুলে গুরুগ্রামেরই অন্য এলাকায় নিয়ে গিয়ে ফের মারধর করে দুষ্কৃতীরা। শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। দুষ্কৃতীরা পুলিশের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়ে। গুরুতর জখম অবস্থায় লুকমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ট্রাকের মাংস ফরেন্সিক পরীক্ষাগারে পাঠানোতেই পুলিশ বেশি তৎপরতা দেখিয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ২০১৫ সালে উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে গোমাংস রাখার ‘অপরাধে’ পিটিয়ে খুনের ছায়া দেখছে নানা শিবির।

হাসপাতালেই একটি সংবাদমাধ্যমকে লুকমান বলেছেন, ‘‘আমি মোষের মাংস নিয়ে যাচ্ছিলাম। আট-দশ লোক আমাকে থামতে বলে। ভয় পেয়ে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দিই। গুরুগ্রামের সদর বাজার এলাকায় পৌঁছতেই ওরা আমাকে ধরে ফেলে। তার পরে লোহার রড দিয়ে মারে। ওরা বলছিল গরুর মাংস নিয়ে যাচ্ছি।’’

Advertisement

গত কাল ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি হরিয়ানা পুলিশ। আজ গুরুগ্রাম পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, লুকমান হরিয়ানার নুহ থেকে মাংস নিয়ে গুরুগ্রামের সদর বাজারে যাচ্ছিলেন। গুরুগ্রামে এক দল দুষ্কৃতী তাঁর উপরে হামলা চালায়। পরে তাঁকে হরিয়ানার সোহনা এলাকায় নিয়ে গিয়ে ফের মারধর করা হয়। গুরুগ্রাম পুলিশের এসিপি প্রীতপাল সাঙ্গোয়ান বলেন, ‘‘পুলিশ হস্তক্ষেপ করলে দুষ্কৃতীরা গোলমাল শুরু করে। হিংসায় যুক্ত থাকা, মারধর করার মতো কয়েকটি অভিযোগে মামলা হয়েছে। প্রদীপ যাদব নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’’

পুলিশ জানিয়েছে, বছর পঁচিশের প্রদীপ ভিওয়ানি জেলার বাসিন্দা। এখন সে গুরুগ্রামের রাজীব নগরে থাকে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও কেন পুলিশ প্রথমে হস্তক্ষেপ করেনি তা জানা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন