হরিয়ানার নিহত আইপিএস অফিসার তথা রাজ্যের এডিজি ওয়াই পূরণ কুমার। — ফাইল চিত্র।
হরিয়ানার আইপিএস অফিসার তথা রাজ্যের এডিজি ওয়াই পূরণ কুমারের ‘আত্মহত্যা’র পর পুলিশের একাধিক শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে হেনস্থা এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আগেই রোহতকের পুলিশ সুপার নরেন্দ্র বিজার্নিয়ার বদলি হয়ে গিয়েছে। সেই আবহে এ বার রাজ্য পুলিশের ডিজি শত্রুজিৎ সিংহ কপূরকেও ছুটিতে পাঠিয়ে দিল হরিয়ানা সরকার।
সোমবার গভীর রাতে ডিজিপি শত্রুজিৎকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবরটি নিশ্চিত করেছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা রাজীব জেটলি। উল্লেখ্য, বিতর্কের আবহে রোহতকের তৎকালীন পুলিশ সুপার বিজার্নিয়াকে বদলি করে দেওয়ার কয়েক দিন পরেই এই ঘটনা ঘটল।
সহকর্মীদের লাগাতার হেনস্থা ও জাতিবিদ্বেষী মন্তব্যের জেরে গত ৭ অক্টোবর নিজের বাড়িতেই সার্ভিস রিভলভার দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেন ২০০১ ব্যাচের আইপিএস পূরণ। দীর্ঘ সুইসাইড নোটে পুলিশের আট জন শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ বিস্তারিত লিখে যান তিনি। স্বামীর মৃত্যুর পর তা নিয়ে সরব হয়েছেন পূরণের স্ত্রী অমনীত পি কুমার। ওই পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও দায়ের করেছেন অমনীত। এফআইআরে বিশেষত শত্রুজিৎ এবং বিজার্নিয়ার নাম অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি তাঁদের গ্রেফতারির দাবিও জানিয়েছে পূরণের পরিবার। জানানো হয়েছে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত দেহের ময়নাতদন্ত কিংবা সৎকার, কোনও কিছুর জন্যই সম্মতি দেবেন না তাঁরা।
এ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিংহ সাইনির কাছে চিঠি লিখে আর্জিও জানিয়েছে পূরণের পরিবার, যাতে অভিযুক্ত দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়। এর পরেই আইজি-র নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি সিট গঠন করা হয়েছে। এডিজি-র মৃত্যুতে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে রাজ্যের পুলিশমহলেও। মঙ্গলবারই পূরণের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। রাহুল বলেন, ‘‘এই ঘটনায় দেশের দলিতদের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। তাঁদের বোঝানো হচ্ছে, তুমি যতই সফল হও না কেন, তুমি দলিত হলে তুমি কখনওই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।’’ দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা।