গত ২৭ মার্চ পৃথিবীর ৩০০ কিলোমিটার উপরের একটি কক্ষপথে থাকা নিজেদেরই কাজ না করা ‘মাইক্রোস্যাট’ উপগ্রহকে এ-স্যাট ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ধ্বংস করেছিলেন ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীরা। (প্রতীকী ছবি)
পাঁচ দিন পরেই রেডার নজরদারি উপগ্রহ ইলেকট্রনিক ইনটেলিজেন্স স্যাটেলাইট এমিস্যাট-এর সফল উৎক্ষেপণ করা হল। শত্রু দেশের রেডারের উপর নজরদারি চালাবে ‘এমিস্যাট’।
মাত্র ৪৩৬ কিলোগ্রাম ওজনের এই ‘এমিস্যাট’ উপগ্রহ শত্রু দেশের রেডারের উপর নজরদারির চালানোর পাশাপাশি তার অবস্থানও জানাবে।
এত দিন পর্যন্ত এই ধরনের নজরদারি চালানোর জন্য বিশেষ বিমান ব্যবহার করা হত। এ বার থেকে এমিস্যাট-ই এই নজরদারি চালাবে।
পিএসএলভি সি-৪৫ রকেটের মাধ্যমে এমিস্যাট পাড়ি দেয় মহাকাশে। সোমবার ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ উৎক্ষেপণ করা হয় এই উপগ্রহের। পৃথিবীর বাইরে তিনটি আলাদা কক্ষপথে এমিস্যাট-সহ আরও ২৮টি ন্যানো উপগ্রহকে রাখল এই রকেট। এমিস্যাট বেশ হালকা হওয়ায় সহজেই একে স্থাপন করা গিয়েছে কক্ষপথে।
২৮টি ন্যানো উপগ্রহের মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই রয়েছে ২৪টি কৃত্রিম উপগ্রহ। এ ছাড়াও রয়েছে লিথুয়ানিয়া, স্পেন, সুইজারল্যান্ডের মোট চারটি উপগ্রহ।
এটি শত্রু শিবিরের রেডারের নাগাল সহজেই পাবে। কথোপকথন চিহ্নিত করে তা রেকর্ড করতে পারবে এর সেন্সর। ফলে এটি বলে দেবে সীমান্ত পেরিয়ে শত্রুপক্ষ হামলার জন্য তৈরি হচ্ছে কিনা।
শত্রুর কাছে কী কী অস্ত্র বা ইলেকট্রনিক গ্যাজেট রয়েছে, তাও বলতে পারবে এমিস্যাট। শত্রু ঘাঁটির নিখুঁত ও স্পষ্ট ছবি তুলেও পাঠাতে পারবে এই কৃত্রিম উপগ্রহটি।
ইসরোর ইতিহাসে প্রথম একটি রকেট এতগুলি কৃত্রিম উপগ্রহকে তিনটি ভিন্ন কক্ষপথে স্থাপন করল। তাই এই অভিযানকে থ্রি ইন ওয়ান বলা হচ্ছে।
ভিজিটর্স গ্যালারি থেকে এই প্রথম রকেট উত্ক্ষেপণ দেখলেন দর্শকরাও। সেই গ্যালারিও এমন ভাবে বানানো হয়েছে, যাতে দু’টি লঞ্চ-প্যাড থেকেই রকেটের উৎক্ষেপণ দেখা যায়।