তিনি সেনা অফিসার, অপরাধী নন, মেহবুবা সরকারকে সুপ্রিম ধমক

তাদের দাবি, মেজরের নামে নয়, বাহিনীকে নেতৃত্ব দিচ্ছেলেন যিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৮ ১৮:১০
Share:

সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল ছবি।

সোপিয়ানে সেনার গুলিতে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় তপ্ত হয়ে উঠেছিল কাশ্মীর। গত জানুয়ারির সেই ঘটনার তদন্তে নামা জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশকে এ বার ধমক খেতে হল সুপ্রিম কোর্টের কাছে। ওই ঘটনায় মেজর আদিত্য কুমারের নামে এফআইআর করা হয়নি বলেও সোমবার সাফাই দিল মেহবুবা মুফতির পুলিশ। তাদের দাবি, মেজরের নামে নয়, বাহিনীকে নেতৃত্ব দিচ্ছেলেন যিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।

Advertisement

ঘটনাটি দক্ষিণ কাশ্মীরে সোপিয়ানের গনভপোরা গ্রামের। সেনার কনভয় ঘিরে ধরে ভাঙচুর চালিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। এলোপাথাড়ি পাথরও ছুড়েছিল। এমনকী সেনার গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সেই সময় সেনার তরফে দাবি করা হয়েছিল, আত্মরক্ষার তাগিদে গুলি চালানোর কথা। সেই গুলিতে তিন বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর পরেই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল উপত্যকা। জারি হয়েছিল কার্ফু। বন্ধ করা হয়েছিল ইন্টারনেটও।

সেই ঘটনার পর ১০ গঢ়বাল রেজিমেন্টের কয়েক জন জওয়ানের এবং সেই বাহিনীর নেতৃত্বে থাকা অফিসারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। নাম জড়িয়ে যায় বাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়া মেজর আদিত্য কুমারের।

Advertisement

আরও পড়ুন: কাশ্মীরে হত ৪ নাগরিক, ৩ জনই জঙ্গি মদতদাতা, বলল সেনা

এর পরই বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হন মেজর আদিত্যর বাবা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল করমবীর সিংহ। ঘটনার সময় তাঁর ছেলে আদিত্য কুমার সেখানে ছিলেন না বলে দাবিও করেন তিনি। সেনার গুলিতে মৃত্যু এবং মেজর আদিত্যের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের বেঞ্চ তৈরি করে সুপ্রিম কোর্ট। যার নেতৃত্বে রয়েছেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র।

এ দিন ছিল সেই মামলার শুনানি। সেখানেই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশকে কিছুটা হলেও নিজেদের অবস্থান বদল করতে দেখা যায়। এ মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়ে রাজ্য পুলিশের তরফে শীর্ষ আদালতে পেশ রিপোর্টে সাফাই দেওয়া হয়েছে, এফআইআর-এ মেজর আদিত্য কুমারের নাম নেই। কেবল বলা হয়েছে, যিনি বাহিনীকে নেতৃত্ব দিচ্ছেলেন, তার কথা।

আরও পড়ুন: সেনার গুলিতে নিহত ৩, কাশ্মীরে বন্ধ ইন্টারনেট, জারি কার্ফু

পাশাপাশি এ দিন শুনানির সময় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়েছে, আফস্পা অর্থাৎ ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’ বলবৎ থাকা একটি রাজ্যে পুলিশ কোনওভাবেই কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া মেজর বা তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনও মামলা করতে পারে না।

এ দিন বেঞ্চ বলেছে, মেজর আদিত্য একজন সেনা অফিসার। একজন সাধারণ অপরাধীর মতো তাঁর সঙ্গে ব্যবহার করা কোনওমতেই ঠিক নয় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়েছে আগামী ২৪ এপ্রিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন