অধ্যাপককে চড় মারার ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রনেত্রী দীপিকা ঝা। ছবি: সংগৃহীত।
অধ্যাপককে চড় মেরে বিতর্কে জড়িয়েছেন এবিভিপি নেত্রী তথা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক দীপিকা ঝা। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল হতেই নিজের কৃতকর্মের সমর্থনে ব্যাখ্যা দিলেন তিনি। দাবি করলেন যে, ওই অধ্যাপক তাঁর দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে হাসছিলেন। প্রহৃত অধ্যাপক তাঁকে কটূ কথা বলেছিলেন বলেও দাবি করেছেন ওই ছাত্রনেত্রী।
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবারের। ওই দিন দিল্লির ভীমরাও অম্বেডকরের কলেজে শৃঙ্খলারক্ষাকারী কমিটির বৈঠক চলছিল। অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীন কলেজের অধ্যাপক সুজিত কুমারকে চড়় মারেন। দিল্লি পুলিশের কয়েক জন আধিকারিকের উপস্থিতিতেই এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয় ছাত্র এবং অধ্যাপক সংগঠনগুলি। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই অভিযোগে ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। সমাজমাধ্যমে ঘটনার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও আনন্দবাজার ডট কম এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)। পুলিশ ওই ভিডিয়োটি খতিয়ে দেখছে।
শুক্রবার সকালেই একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে গোটা ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন ওই ছাত্রী। বলেছিলেন, “ওই অধ্যাপক পুলিশের সামনেই আমার দিকে তাকিয়েছিলেন। আমায় হুমকি দিচ্ছিলেন। এই সব কিছু দেখে আমি রেগে যাই। তার পরেই আমার হাত উঠে যায়। আমি ওই ঘটনার জন্য দুঃখিত। সব শিক্ষকদের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি।” সে দিনের ঘটনার কথা উল্লেখ করে ওই ছাত্রীর দাবি, তিনি ওই অধ্যাপককে জানিয়েছিলেন, প্রকাশ্যে ধূমপান করলে পড়়ুয়াদের সামনে শিক্ষকের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। তার পরেই ওই অধ্যাপক তাঁকে কটূ কথা বলেন বলে দাবি এবিভিপি নেত্রী দীপিকার।