Pahalgam Terrorist Attack

‘অনুমতি দিয়েছিল দফতর’! পাক মহিলাকে বিয়ে করে বহিষ্কৃত সিআরপিএফ জওয়ানের পাল্টা দাবি, প্রস্তুতি আইনি লড়াইয়ের

মুনির জানিয়েছেন, চাকরি থেকে বহিষ্কার করার এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ন্যায়বিচার পাবই।’’

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৫ ১০:০২
Share:

বহিষ্কৃত সিরআরপিএফ জওয়ান মুনির এবং তাঁর স্ত্রী মিনাল। ছবি: সংগৃহীত।

সদর দফতর থেকেই তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। আর সেই অনুমতি পাওয়ার পরেই পাক মহিলাকে বিয়ে করেন বলে পাল্টা দাবি করলেন বহিষ্কৃত সিআরপিএফ জওয়ান মুনির আহমেদ।

Advertisement

তিনি জানিয়েছেন, চাকরি থেকে বহিষ্কার করার এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন। মুনিরের কথায়, ‘‘আমি ন্যায়বিচার পাবই।’’ মুনির আরও করেছেন, তাঁকে যে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে সেটা প্রথমে জানতে পারেন সংবাদমাধ্যম থেকে। তার কিছু পরেই সিআরপিএফের সদর দফতরে থেকে বহিষ্কারের চিঠি এসে পৌঁছোয়। তাঁর কথায়, ‘‘ভাবতে পারছি না, আমার বিরুদ্ধে এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। চাকরি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হল!’’

সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের কাছে মুনির দাবি করেন, পাক তরুণী মিনাল খানকে বিয়ে করার জন্য সিআরপিএফের সদর দফতরে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন মঞ্জুরও করা হয়। কিন্তু সিআরপিএফ সদর দফতরের দাবি, মুনিরের আবেদনপত্র তারা পেয়েছিল। কিন্তু তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। তার মধ্যেই দফতরকে কোনও খবর না দিয়েই গোপনে বিয়ে করেন মুনির। শুধু তা-ই নয়, তাঁর স্ত্রী মিনাল ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারতে থেকে গিয়েছেন। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর যখন পাকিস্তানি ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র, সেই সূত্র ধরেই সিআরপিএফ জওয়ান মুনিরের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তার পরই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে সিআরপিএফ। তাদের তরফে জানানো হয়, মুনিরের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে একাধিক গাফিলতির ধরা পড়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ করা হবে। সেই বিবৃতির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুনিরকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে সিআরপিএফ।

Advertisement

জম্মুর ঘারোটা এলাকা বাসিন্দা মুনির। ২০১৭ সালে সিআরপিএফে যোগ দেন। ২০২৪ সালের মে মাস থেকে মুনিরের সঙ্গে অনলাইনে সম্পর্ক গড়ে ওঠে পাকিস্তানের সিয়ালকোটের বাসিন্দা মিনালের। অনলাইনেই তাঁদের বিয়ে (নিকাহ্‌) হয়। ভিসার জন্য দীর্ঘ দিন অপেক্ষার পরে শেষে স্বল্পমেয়াদি ভিসায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এ দেশে আসেন তিনি। চলতি বছরের ২২ মার্চ মাসে ওই স্বল্পমেয়াদি ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। স্ত্রীকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি আটকাতে জম্মু-কাশ্মীর হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মুনির। স্ত্রী মিনাল খান অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে পাকিস্তানে ফেরার আগে আদালত থেকে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ মেলে। আগামী ১৪ মে ওই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আদালতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement