শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কি আর পড়ুয়াদের জন্য নিরাপদ নয় এ দেশে? প্রশ্নটা উঠছে। কারণ, স্কুলের ভিতর একের পর এক যৌন নিগ্রহের অভিযোগ। সব ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত শিক্ষক। নিগৃহীতারা কখনও শিশু, কখনও কিশোরী। কলকাতার পর এমনই অভিযোগ উঠল ভুবনেশ্বরের এক স্কুলে। সেখানে ষষ্ঠ শ্রেণির এক পড়ুয়াকে ধর্ষণের অভিযোগে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভুবনেশ্বরের এই ঘটনায় রীতিমতো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পড়ুয়া-সহ তাদের অভিভাবকেরা।
ওডিশা পুলিশের দাবি, গত এক মাস ধরেই স্কুল চত্বরের ভিতর ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ময়ূরভঞ্জ জেলার ওই ঘটনা জানাজানি হতেই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের উপর চড়াও হন স্থানীয়েরা। বেধড়ক মারধরের পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁকে। নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ময়ূরভঞ্জ জেলার ডিএসপি ভি কে পটেল বলেন, “এক মাস ধরে ধর্ষণের শিকার ওই নাবালিকা। সম্প্রতি নির্যাতনের কথা নিজের বাড়ির লোকজনকে জানায় সে। এর পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন
রাস্তা বানাচ্ছে চিন, এই বারও কাছে সেই ডোকলাম!
কয়লা কেলেঙ্কারিতে দোষী ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
নেশাও করেন, মাদকও বেচেন এই কৃতী পড়ুয়ারা!
সম্প্রতি কলকাতায় স্কুলের ভিতরে শিশু পড়ুয়াদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। গত মাসের শেষে রানিকুঠির জি ডি বিড়লা স্কুলে চার বছরের এক নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন করেন স্কুলেরই শারীরশিক্ষার দুই শিক্ষক। অভিযুক্তদের ‘পকসো’ আইনে গ্রেফতার করা হয়। মাস তিনেক আগে এম পি বিড়লা স্কুলেও সাড়ে তিন বছরের নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করা হয়। ওই দু’টি ঘটনাতেই স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। যদিও ওই দু’টি ঘটনাতেই তদন্ত চলছে।