দিল্লিতে যমুনার জলস্তর দেখছেন প্রবেশ বর্মা। ছবি: পিটিআই।
ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারতের দুই মহানগর। এক দিকে টানা বৃষ্টি চলছে দেশের রাজধানীতে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে যমুনা নদী। দুর্যোগ চলছে বাণিজ্যনগরী মুম্বইতেও। সেখানেও নাগাড়ে ভারী বর্ষণের জেরে জলের তলায় চলে গিয়েছে শহরের বহু রাস্তা। বন্ধ স্কুল-কলেজ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, টানা দু’দিন ধরে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টি চলছে। সোমবার মুম্বই ও সংলগ্ন অঞ্চলের জন্য নতুন করে লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। সোমবার দিনভর শহরের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ চলতে পারে। পাশাপাশি ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়েরও সম্ভাবনা রয়েছে। কোঙ্কণ-গোয়াতে প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। মধ্য মহারাষ্ট্র এবং মারাঠওয়াড়াতেও অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। আগামী ২৩ তারিখ পর্যন্ত সেখানে আবহাওয়ার বিশেষ উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে মুম্বইয়ের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। সোমবার সকালেও যানজটের জেরে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ। বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মুম্বই সংলগ্ন শহরতলি এলাকা। কুরলা, চেম্বুর ও অন্ধেরির বহু এলাকায় হাঁটুজল জমে গিয়েছে। কোথাও কোথাও ডুবে গিয়েছে রেললাইনও। এই পরিস্থিতিতে বৃহন্মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার শহরবাসীকে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে পা না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। জরুরি পরিস্থিতির জন্য তৈরি রয়েছে প্রশাসনও।
অন্য দিকে, ভারী বৃষ্টিতে নাজেহাল রাজধানী দিল্লিও। সেখানেও বিভিন্ন এলাকায় জল জমে গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, একটানা বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন নদীর জলস্তর বিপজ্জনক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। বিপদসীমা (২০৫.৩৩ মিটার) ছুঁয়ে ফেলেছে যমুনার জল। মঙ্গলবারের মধ্যে জলস্তর ২০৬ মিটারে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় জল কমিশন। হরিয়ানার হাতিনীকুণ্ড জলাধারের ১৮টি গেট খুলে দেওয়ার জেরেই এই পরিস্থিতি। জল ছাড়া হয়েছে ওয়াজ়িরাবাদ জলাধার থেকেও। সম্ভাব্য সব রকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি চলছে। প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে।