বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গুজরাত। গত ২৪ ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে কার্যত বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সৌরাষ্ট্রে। দক্ষিণ গুজরাতের পরিস্থিতিও তথৈবচ। সব চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আমরেলি জেলার। বুধবার শুধু সেখানেই প্রাণ হারান ৩৬ জন। এখনও পর্যন্ত গুজরাতে বৃষ্টির বলি ৪৫।
বিপর্যস্ত আমদাবাদও। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৩০ মিলিমিটার এবং গত দশ বছরে তা সর্বোচ্চ বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে। আবহাওয়া অফিসের এক কর্তা জানিয়েছেন, সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ, দমন, দিউ, দাদরা ও নগর হাভেলিতে আগামী কয়েক দিনে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন পটেল রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। রাজ্যবাসীকে উদ্বিগ্ন হতে বারণ করেছেন তিনি। আমরেলিতে পাঠানো হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং বায়ুসেনাকে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ। প্রায় ১০,০০০ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সৌরাষ্ট্রে তিন হাজারেরও বেশ গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত। ধুয়ে সাফ হয়ে গিয়েছে বহু রাস্তা এবং রেললাইন।
লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কাশ্মীরও। জলমগ্ন দক্ষিণ কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকা। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ঝিলম নদী। গত কাল গভীর রাতেই অনন্তনাগ এবং পুলওয়ামা জেলায় বন্যা সতর্কতা জারি করেছিল আবহাওয়া অফিস। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে তারা। ইতিমধ্যেই জলমগ্ন অনন্তনাগের বিস্তীর্ণ এলাকা। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কুলগামের বহু এলাকাও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃষ্টিতে ধুয়ে গিয়েছে বহু সেতু এবং সড়ক। অনন্তনাগ এবং পুলওয়ামার মতো বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এ দিকে, শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়কে ধসের জন্য যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই সড়কের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছে দু’শোটির মতো গাড়ি। বানিহাল ও বারামুলার মধ্যে ট্রেন চলাচল আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
অবিরাম বৃষ্টি প্রভাব ফেলেছে চার ধাম যাত্রাতেও। আজকের মতো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কেদারনাথ যাত্রা। আবহাওয়ার উন্নতি হলে আগামী কাল থেকে যাত্রা ফের শুরু হতে পারে।