Jharkhand Political Turmoil

চম্পাই কি ডাক পাবেন? প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের হাতেই ঝাড়খণ্ডের ‘ভাগ্য’, বিধানসভার অঙ্ক কী?

অতীতে উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল, কর্নাটক কিংবা হালফিলের মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো ‘বিধায়ক কেনাবেচা’ করে সরকার পাল্টানোর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিজেপি বিরোধী শিবির।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:১৭
Share:

রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণের (ডান দিকে) কাছে ইস্তফা জমা দিচ্ছেন হেমন্ত সোরেন (বাঁ দিকে)। ছবি: পিটিআই।

ইডির আধিকারিকদের নিয়ে বুধবার সন্ধ্যাতেই ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণের কাছে ইস্তফা দিতে গিয়েছিলেন হেমন্ত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের নতুন নেতা চম্পাই সোরেন। বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থনপত্র নিয়ে জোটের নেতা হিসাবে রাজ্যপালের কাছে সরকার গড়ারও দাবি জানান চম্পাই।

Advertisement

কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ রাধাকৃষ্ণণ বুধবার রাত পর্যন্তও আনুষ্ঠানিক ভাবে সরকার গড়়ার আমন্ত্রণ জানাননি চম্পাইকে। এই পরিস্থিতিতে ক্রমশ নানা জল্পনা দানা বাঁধছে ঝাড়খণ্ডে। অতীতে উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল, কর্নাটক কিংবা হালফিলের মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো ‘বিধায়ক কেনাবেচা’ করে সরকার পাল্টানো ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিজেপি বিরোধী শিবির।

৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ‘জাদু সংখ্যা’ ৪১। জেএমএমের সরফরাজ আহমেদের ইস্তফার কারণে এখন বিধায়ক সংখ্যা ৮০। শাসক জোটের রয়েছে ৪৮ জন বিধায়ক। জেএমএম ২৯, কংগ্রেস ১৬, আরজেডির ১ এবং সিপিআইএম লিবারেশন ১। বিরোধী শিবিরে রয়েছেন ৩২ বিধায়ক। বিজেপি ২৫, আজসু ৩, এনসিপি (অজিত) ১, নির্দল ৩। অর্থাৎ আট জন বিধায়ক ভাঙাতে পারলেই রাঁচীর কুর্সি যাবে বিজেপির দখলে। বিরোধীদের একাংশের আশঙ্কা, বিধায়ক কেনাবেচার ‘সময়’ করে দিতেই চম্পাইকে আমন্ত্রণে কালক্ষেপ করা হতে পারে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন