ফাইল চিত্র।
হায়দরাবাদের মক্কা মসজিদ বিস্ফোরণের মামলার রায় দিয়েই গত সোমবার ইস্তফা দিয়েছিলেন এনআইএ আদালতের বিচারক রবীন্দ্র রেড্ডি। কিন্তু তাঁর ইস্তফা খারিজ হয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার ফের কাজে যোগ দিলেন তিনি।
মক্কা মসজিদ বিস্ফোরণে অসীমানন্দ-সহ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেতাদের মুক্তি ও তার পরেই বিচারকের ইস্তফা নিয়ে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছিল। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে পাঠানো ইস্তফার চিঠিতে বিচারক রবীন্দ্র রেড্ডি অবশ্য জানিয়েছিলেন, ব্যক্তিগত কারণেই পদত্যাগ করছেন তিনি। ইস্তফাপত্রের সঙ্গেই ১৫ দিনের ছুটির আবেদনও করেছিলেন ওই বিচারক। কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানা হাইকোর্টের কার্যনির্বাহী প্রধান বিচারপতি রমেশ রঙ্গনাথন সেই ছুটির আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারক রেড্ডিকে কাজে যোগ দিতে বলেছেন। এর পরেই এ দিন হায়দরাবাদের চতুর্থ অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন দায়রা আদালতে কাজে যোগ দিয়েছেন ওই বিচারক।
২০০৭ সালে মক্কা মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিলেন ৯ জন, আহত ৫৮ জন। মামলায় অভিযুক্ত হিন্দুত্ববাদী পাঁচ নেতাকে মুক্তি দিয়েছে এনআইএ-র বিশেষ আদালত। অভিযুক্তরা বেকসুর খালাস পাওয়ায় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন হায়দারাবাদের সাংসদ ও এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিনওয়েইসি। এরই মধ্যে ওই মামলার সরকারি কৌসুলির অতীত নিয়েও ফের বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি কৌসুলি এন হরিনাথ এক চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আইন কলেজে পডার সময়ে তিনি সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র সদস্য ছিলেন। তবে তাঁর কাজে জগতে এর প্রভাব পড়েনি বলেই দাবি করেছেন তিনি।