SIR

চুরির সাত বছর পরে ডাকযোগে বাড়িতে পৌঁছলো নথি! চোরের মানবিকতায় মুগ্ধ এসআইআর-চিন্তিত কোচবিহারের যুবক

২০১৮ সালের এমনই ডিসেম্বরের পরিবেশপ্রেমী অর্ধেন্দুর বাড়িতে কেউ ছিলেন না। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে চোর ঢোকে। অর্ধেন্দু জানান, তিনি বাইরে গিয়েছিলেন। এসে দেখেন দুটো ফাইল নেই।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:৩৪
Share:

ফিরে পাওয়া ফাইল হাতে অর্ধেন্দু বণিক। — নিজস্ব চিত্র।

এসআইআর আবহে নথির চিন্তায় অনেকে। তাঁদের মধ্যে একজন কোচবিহারের অর্ধেন্দু বণিক। ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় নথিই ছিল যুবকের। কিন্তু সাত বছর আগে বাড়িতে চুরি হয়। চুরি গিয়েছিল যাবতীয় নথি। হঠাৎ সেই সমস্ত নথিই ফিরে পেলেন অর্ধেন্দু। ডাকযোগে!

Advertisement

২০১৮ সালের এমনই ডিসেম্বরের শীতে পরিবেশপ্রেমী অর্ধেন্দুর বাড়িতে কেউ ছিলেন না। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে চোর ঢোকে। অর্ধেন্দু জানান, তিনি বাইরে গিয়েছিলেন। এসে দেখেন দুটো ফাইল নেই। তিনি বলেন, “ওই ফাইলে আমার স্কুল সার্টিফিকেট, বার্থ সার্টিফিকেট, প্যান কার্ড ছিল। আরও প্রয়োজনীয় বেশ কিছু কাগজপত্র ছিল।” চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগও করেছিলেন। তার পর সাত বছর কেটে গিয়েছে। চুরি যাওয়া নথি ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। তার পরেই ঘটল চমকপ্রদ ঘটনা।

গত ২৭ ডিসেম্বর অর্ধেন্দুর বাড়িতে ডাকযোগে একটি পার্সেল এসে পৌঁছোয়। পার্সেল খুলেছিলেন তিনিই। তার পর বিস্ময়। অর্ধেন্দুর দাবি, সাত বছর আগে চুরি যাওয়া দুটি ফাইল ছিল ওই পার্সেলে। নথিপত্র ফিরে পেয়ে তিনি যতটা খুশি হয়েছেন, তার থেকে ঢের অবাক হয়েছেন। যে সার্টিফিকেট সাত বছর আগে চুরি হয়ে গিয়েছে, সেই সার্টিফিকেট সাত বছর পর ডাকযোগে কে পাঠালেন, তা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই যুবকের। তিনি বলেন, “সার্টিফিকেটগুলো চুরির পর একজনকে সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু খোঁজখবর করার পরেও কিছু উদ্ধার করা হয়নি। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এ ভাবে বছরের পর বছর কেটে গিয়েছে। হঠাৎ করে ২৭ ডিসেম্বর বাড়িতে একটি পার্সেল আসে। পার্সেলটি এসেছে কোচবিহারের বক্সিরহাটের লাঙ্গল গ্রাম থেকে। আমার মনে একটাই কৌতুহল যার কাছে এই সার্টিফিকেটগুলো ছিল তিনি এতদিন পাঠালেন না। হঠাৎ কী মনে হল তাঁর?”

Advertisement

বিস্ময়ের অবধি নেই যুবকের। তিনি জানান, একবার ভাবছেন শংসাপত্র এবং নথিগুলো যিনি পাঠিয়েছেন, তিনি হয়তো ভেবেছেন এসআইআর চলছে। নথির প্রয়োজন হতে পারে। তাই পাঠিয়েছেন।

চুরি যাওয়া নথি ফিরে পেয়ে সোমবার থানায় লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন অর্ধেন্দু। সব শুনে বিস্মিত পুলিশও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement