নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে হিন্দুত্বের প্রচারে একটি নতুন কৌশল যুক্ত হল। সমাজের বিভিন্ন স্তরের হিন্দু ‘আন্দোলনকারীরা’ একজোট হয়ে তৈরি করলেন একটি দাবিসনদ। সাংবাদিক সম্মেলন করে নয়াদিল্লিতে সেটিকে সামনে নিয়ে আসা হল আজ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে তা পেশ করা হবে।
আনুষ্ঠানিক ভাবে এই আন্দোলনকারীরা (যাঁদের মধ্যে রয়েছেন লেখক, অধ্যাপক, ব্যবসায়ী, পেশাদার, আধ্যাত্মিক গুরু-রা) জানাচ্ছেন, আরএসএস তথা সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে তাঁদের সংযোগ নেই। কোনও দলীয় রাজনীতির মধ্যেও তাঁরা থাকতে চান না। কিন্তু দেশে হিন্দুদের উপরে যে বঞ্চনা হচ্ছে, তা দেখে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তাঁরা। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করে অবসর নিয়েছেন ভরত গুপ্ত। তিনি এই দাবিসনদের অন্যতম রূপকার। তাঁর কথায়, ‘‘মোদীজি ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ’-এর কথা বলছেন। এ বার এই বিকাশে হিন্দুদেরও শামিল করা হোক।’’ সেই ‘বিকাশ’-এর পথ বাতলে দিতে গিয়ে তিন বছর আগে লোকসভায় সত্যপাল সিংহের পেশ করা একটি প্রাইভেট মেম্বার বিলের কথা তুলেছেন তাঁরা। বিলটি এখনও পাশ হয়নি। হিন্দু আন্দোলনকারীদের দাবি, অবিলম্বে সেটি পাশ করানো হোক। এই বিল পাশ হলে হিন্দু মন্দির, হিন্দু সংস্কৃতি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রসারের ক্ষেত্রে কোনও সরকারি হস্তক্ষেপ থাকবে না। হিন্দু আচার পালনের সময়ে কোনও খবরদারির মুখেও পড়তে হবে না।
হিন্দু সংহতি সংগঠনের প্রবক্তা তপন ঘোষের দাবি, বর্তমান এফসিআরএ (ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট)-কে বাতিল করে নতুন ভাবে একে আনা হোক। কারণ, দশ বছরে বিপুল অর্থ বিদেশি ‘এজেন্ট’দের থেকে এসেছে। কিন্তু এঁরা টাকা দিয়ে ভারতকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করেছেন বলে তাঁর অভিযোগ। গোমাংস ভক্ষণ নিয়ে বিধিনিষেধ জারির কথা না-বললেও সনদের দাবি, মাংস এবং গোমাংস বিদেশ রফতানি অবিলম্বে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হোক। এর ফলে দেশে এর দাম কমবে।