ফের ছবি প্রকাশ করে পুলিশকে হুমকি হিজবুলের

উপত্যকার কয়েক জন পুলিশ ও সেনাকে ইস্তফা দিতে বলে ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভি়ডিয়ো পোস্ট করল হি়জবুল মুজাহিদিন। তাদের কথা মতো কাজ না করলে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:১৪
Share:

উপত্যকার কয়েক জন পুলিশ ও সেনাকে ইস্তফা দিতে বলে ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভি়ডিয়ো পোস্ট করল হি়জবুল মুজাহিদিন। তাদের কথা মতো কাজ না করলে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি। শনিবার রাতে হিজবুলের তরফে দুই অফিসার-সহ ১৩ জন পুলিশকর্মী ও এক সেনার ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এঁরা প্রত্যেকেই দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ, কুপওয়ারা, কুলগাম ও সোপিয়ান জেলার বাসিন্দা অথবা সেখানে কর্মরত।

Advertisement

শুক্রবারই সোপিয়ানে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তিন পুলিশকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। এই ঘটনার দিন কয়েক আগে, ঠিক একই ভাবে হিজবুলের তরফে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে পুলিশ কর্মীদের বলা হয় — ‘‘ইস্তফা দাও, না হলে মরো।’’ গত কাল রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ওই সেনা ও পুলিশদের নামের সঙ্গে ছবি, তাঁরা কোন পদে কর্মরত ও তাঁদের ঠিকানাও প্রকাশ করেছে জঙ্গিরা। পদত্যাগ করে সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছে তারা। কথা মতো কাজ না হলে ‘মাথায় গুলি’ খেয়ে মরার জন্য তৈরি থাকার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

জঙ্গিদের প্রকাশিত তালিকায় নাম রয়েছে ডেপুটি পুলিশ সুপার পারভেজের। যদিও বিষয়টিকে আমল দিতে রাজি নন ওই পুলিশ কর্তা। তাঁর কথায়, ‘‘এ তো আমাদের রুটি-রুজি। তাছাড়া আমরা দেশের জন্য লড়াই করি। জানি আমাদের পরিবার সব সময়ে ঝুঁকির মুখে থাকে। কিন্তু, তার মানে এই নয় যে জঙ্গিদের সামনে মাথা নোয়াবো। পদত্যাগের কোনও প্রশ্নই উঠছে না।’’ ‘খতম তালিকা’-য় থাকা মহম্মদ আসগর নামে এক ইনস্পেক্টরও বলেছেন, ‘‘হুমকিতে ভয় পাই না আমরা।’’ প্রথমে কনস্টেবল হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন আসগর। পরে তাঁকে ইনস্পেক্টর পদে বহাল করা হয়।

Advertisement

তবে এক মহিলা এসপিও-র ইস্তফার ভিডিয়ো আজ ভাইরাল হয়েছে উপত্যকায়। ওই ভিডিয়োয় ওই মহিলা এসপিও জানিয়েছেন, তাঁর নাম রফিকা আখতার। তিনি কুলগামের বাসিন্দা। ১৫ বছর কাজ করার পরে তিনি স্বেচ্ছায় কাজ ছাড়ছেন। এই প্রথম কাশ্মীরে কোনও মহিলা পুলিশ আধিকারিকের ইস্তফা-ভিডিয়ো প্রকাশিত হল।

জঙ্গিদের এই ছবি প্রকাশকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না পুলিশ অফিসারদের একাংশ। তাঁদের দাবি, হিজবুলের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি পাকিস্তানের মদতে চলে। যে কারণে, উপত্যকায় অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায় তারা। দক্ষিণ কাশ্মীরের স্পর্শকাতর ও বিপজ্জনক এলাকাগুলিতে নিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।

অন্য দিকে পুলওয়ামা জেলায় আজ নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে এক জঙ্গি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার সকালে দক্ষিণ কাশ্মীরের আরিবাল এলাকায় তল্লাশি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী।

শনিবার আবার বারামুলা জেলার সোপোর থেকে মুস্তাক আহমেদ মির নামে ৪৫ বছরের এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজেরা। রাতে বাড়িতে ঢুকে ওই ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যায়

দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, পুঞ্চ জেলা থেকেও নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন গুলাম রাসুল ও বশির আহমেদ নামে দু’জন। ১২ সেপ্টেম্বর কাজে বেরিয়ে আর ফেরেননি তাঁরা। শনিবার রাতে থানায় অভিযোগ করে তাঁদের পরিবার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন