Delhi Violence

অবিশ্বাসে বর্ণহীন হোলি, শাহিনে দহন

হিংসার সব থেকে ভয়ঙ্কর চেহারা যেখানে দেখা গিয়েছে, সেই শিব বিহার এবং তার লাগোয়া মুস্তাফাবাদ আজ দিনভর ছিল থমথমে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২০ ০৫:১৩
Share:

ক্রেতার অপেক্ষায় দিল্লির একটি বাজারে রং বিক্রেতা। ছবি: পিটিআই

রং হাতে খুদেদের সামান্য ছোটাছুটি আর হাতে গোনা ব্যতিক্রম ছাড়া হোলির দিনে বিবর্ণই থাকল দিল্লির সংঘর্ষ বিধ্বস্ত এলাকা। গতকালের মতো আজও সেখানে নাগাড়ে টহল দিল সিআরপিএফ। পাহারায় রইল পুলিশ। মাঝে দোকানপাট যেটুকু খুলেছিল, উটকো ঝামেলার আশঙ্কায় এ দিন অধিকাংশ এলাকায় সেগুলোর ঝাঁপ বন্ধ। রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে বলছেন, “পারস্পরিক অবিশ্বাসের যে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে, তাতে সামান্য প্ররোচনাতেই ফের গন্ডগোল বাধতে পারে বলে ভয় পাচ্ছেন মানুষ। বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নিতে রাজি নন কেউ। তাই রাস্তাঘাট এমন সুনসান।”

Advertisement

সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পর থেকেই শিব বিহার, মুস্তাফাবাদের মতো এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, সিআরপিএফের বাহিনী। হোলিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে দিন দু’য়েক আগে থেকেই। এই পরিস্থিতিতে তুলনায় স্বাভাবিক ছিল গোকুলপুরী, জাফরাবাদ-সহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকাও।

হিংসার সব থেকে ভয়ঙ্কর চেহারা যেখানে দেখা গিয়েছে, সেই শিব বিহার এবং তার লাগোয়া মুস্তাফাবাদ আজ দিনভর ছিল থমথমে। আধা সেনার বিশাল উপস্থিতি সত্ত্বেও ঝাঁপ তোলার ঝুঁকি নেননি দোকানিরা। রাস্তাঘাটে মানুষজনও বেরিয়েছেন একান্ত প্রয়োজনে। কিছু জায়গায় বাড়ি থেকে বার হলে রাস্তায় হাঁটতে হয়েছে মাথার উপরে হাত তুলে। পুলিশের নির্দেশে, আত্মসমর্পণের ভঙ্গিতে। তারই মধ্যে সামান্য উত্তেজনা কিছু ক্ষণের জন্য দানা বেঁধেছিল মুস্তাফাবাদে। কয়েক জন স্পর্শকাতর এলাকায় রং খেলতে শুরু করায়। স্থানীয়দের একাংশের প্রশ্ন, যেখানে প্রাণহানি হয়েছে, ক্ষতি হয়েছে এত মানুষের, সেখানে উৎসব কি আদৌ মানায়?

Advertisement

হোলির রং থেকে অবশ্য বহু দূরে থেকেছে শাহিন বাগ। সেখানে দীর্ঘ দিন ধরে প্রতিবাদে শামিল অমিতা বাগ, প্রকাশ দেবীরা বললেন, “হোলি আমাদের অন্যতম উৎসব হলেও, এ বার রং খেলিনি।” বরং হোলিকা-দহন পালন করেছেন প্রতিবাদীরা। ঘৃণার রাজনীতি, নতুন নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি), জাতীয় জনগণনা পঞ্জি (এনপিআর) ইত্যাদি লেখা পোস্টার ডাঁই করে পুড়িয়েছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন