২৩ মার্চ, ভোটের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে চাপ বাড়ল। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের মহার্ঘ ভাতা আরও বাড়িয়ে দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সরকার বলছে, এটি হোলির উপহার। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার কমানোর সমালোচনার ধাক্কা সামলানোরও একটি চেষ্টা করে ফেলল কেন্দ্র।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেয়, ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মূল বেতনের উপর আরও ৬ শতাংশ মহার্ঘভাতা বাড়ানো হবে। গত বছর সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় সরকার মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়ে ১১৯ শতাংশ করা হয়েছিল। এ বারে সেটি আরও বাড়িয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও ৫৮ লক্ষ পেনশনভোগীদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করলেন নরেন্দ্র মোদী। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতেই আগামী বছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবত থাকবে। তার ফলে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার বাড়তি বোঝা চাপবে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজকোষে।
যতবারই কেন্দ্রীয় সরকার মহাঘর্ভাতা বাড়ায়, ততবারই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের থেকেও দাবি উঠতে থাকে। গত বছর এই ক্ষোভ ও সমালোচনার মুখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এক কিস্তি মহার্ঘভাতা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তাতে ফারাকটি আদৌ মেটেনি। ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর এখন রাজ্যে আদর্শ আচরণ বিধি বলবত রয়েছে। কিন্তু তাতে এ ধরণের সিদ্ধান্ত ঘোষণায় কোনও বাধা নেই কেন্দ্রের। সেই সুযোগে বাংলায় দোলের দিন আর দিল্লিতে হোলির একদিন আগেই মোদী সরকার সুকৌশলে মহার্ঘভাতা ঘোষণা করে ফেলল।
সরকারের এক মন্ত্রী কবুল করেন, বাজেট থেকেই মধ্যবিত্তের উপরে কোপ পড়ার একটি বার্তা গিয়েছে। ইপিএফে কর বসিয়ে পিছু হঠতে হয়েছে। এখন পিপিএফ-সহ স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার কমানো নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। এ সবের মধ্যে মহার্ঘভাতা বাড়ানোর ঘোষণা কিছুটা রেহাই দেবে দলকে। ভোট-রাজ্যেও তার প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন:
ব্রাসেলসে হামলার ঘটনায় জখম দুই জেট-কর্মী