Amit Shah

Amit Shah: উপত্যকা নিয়ে বৈঠকে শাহ

ভারতকে চিন্তায় রেখেছে তালিবান সরকারে হক্কানি জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতা সিরাজুদ্দিন হক্কানির অন্তর্ভুক্তিও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:০৮
Share:

ফাইল চিত্র।

তালিবান আফগানিস্তানে সরকার গড়ার দু’দিনের মাথায় জম্মু-কাশ্মীরের সুরক্ষা ব্যবস্থা বিশদে পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, কাবুলে তালিবরা সরকার গড়ায় উপত্যকা নিরাপত্তার দিক থেকে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে চলেছে, মূলত তা নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে আজকের বৈঠকে।

Advertisement

বিচ্ছিন্নতাবাদ কমিয়ে উপত্যকার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে ৮০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, তার আওতায় থাকা সমস্ত প্রকল্পের কাজে যাতে গতি আসে, তার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।

কাবুলে পালাবদলের পরে সে দেশের মাটি যে ভারতবিরোধী কার্যকলাপে ব্যবহার হবে, সে বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত দিল্লি। উপত্যকায় বরফ পড়ার আগে জঙ্গি অনুপ্রবেশ বাড়বে বলেও আশঙ্কা। যাদের একটি বড় অংশ এই মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর লঞ্চ প্যাডগুলিতে অপেক্ষায় বলে মত গোয়েন্দাদের। এদের সঙ্গে এ বার তালিব জঙ্গিদের একাংশও ভারতে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে।

Advertisement

গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এখন উপত্যকায় প্রায় শ’দুয়েক জঙ্গি সক্রিয়। যাদের অধিকাংশ উপত্যকার বাসিন্দা। কিন্তু আফগানিস্তানে তালিব জঙ্গিদের একটি বড় অংশ এখন কর্মহীন হয়ে পড়ায় তাদের পাক অধিকৃত কাশ্মীর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে বলে খবর। আড়ি পেতে জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানের ঘটনা জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে বাড়তি উৎসাহ জুগিয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির যে প্রশিক্ষণ শিবির রয়েছে, তার অনেকগুলিও পাক মদতে আফগানিস্তানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। যাতে আগামী দিনে পাকিস্তানের মাটিকে জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহারের অভিযোগ তোলা কঠিন হয়।

ভারতকে চিন্তায় রেখেছে তালিবান সরকারে হক্কানি জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতা সিরাজুদ্দিন হক্কানির অন্তর্ভুক্তিও। আগামী দিনে তারা জইশ ও লস্করের সঙ্গে হাত মিলিয়ে উপত্যকায় অশান্তি ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা।

বৈঠকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির মৃত্যুর পরে উপত্যকায় হুরিয়তের ভূমিকা কী হতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। শাহের নেতৃত্বে হওয়া ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সেনাপ্রধান এম এম নরবণে, আইবি ও র’প্রধান। ছিলেন বিএসএফ ও সিআরপিএফের ডিজি। বৈঠকের শেষ ভাগে যোগ দেন লাদাখের উপরাজ্যপাল আর কে মাথুরও। উপত্যকায় উগ্রপন্থা নিয়ন্ত্রণে উন্নয়নকে হাতিয়ার করার কৌশলে জোর দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজের প্রকল্পে গতি আনা এবং তাতে স্থানীয়দের চাকরি দেওয়ার বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিন্‌হাকে নজর দিতে অনুরোধ করেন শাহ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন